দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকায় আটক গরু নিয়ে স্থানীয় জনতার ও বিজিবি সদস্যদের টানা হেচড়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউরা নিউ মার্কেটে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিজিবির আটককৃত গরুটি স্থানীয় দক্ষিণ কলাউরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পালিত গরু। ওই গ্রামের ডাক্তার হারুনের বাড়ির পাশে সীমান্ত সংলগ্ন হাওরে খুটির সাথে বাঁধা অবস্থায় ঘাস খাচ্ছিল ওই গরুটি। দুপুরে বিজিবি সদস্যরা গরুটিকে আটক করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গরু আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাঁর উপরও চড়াও হয়। পরে আটককৃত গরু নিয়ে আসার পথে কলাউরা নিউ মার্কেটে গরু নিয়ে স্থানীয় জনতা ও বিজিবি সদস্যদের টানা হেচড়া করেন। এক পর্যায়ে গরু ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বিজিবি সদস্যরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা চোরাইগরু ভেবে স্থানীয় এক অসহায় কৃষকের গরুটি মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় আটক করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকে। বিওপি কমান্ডার আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। পরে গরু গরু ক্যাম্পে নেওয়ার পথে কলাউরা নিউ মার্কেটে স্থানীয় জনতার চাপে বিজিবি সদস্যরা গরুটি ছেড়ে দেন। আমি বিষয়টি সিলেট ৪৮ বিজিবি’র সিও-কে অবহিত করেছি।’
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর বাংলাবাজার ক্যাম্পের বিওপি কমান্ডার আবুল বাশার বলেন, ‘মূলত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সীমান্তের স্মাগলিংয়ের সাথে জড়িত। এর আগেও তাঁর তিনটি গরু আটক করা হয়েছে। আজকে আটককৃত গরুটিও সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। আটক করার পর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম আটককৃত গরুটিকে তাঁর নিজের বলে দাবি করেন। সীমান্তে যখনই কোনো গরু আটক হয় তা নুরুল ইসলাম মেম্বার তাঁর নিজের বলে দাবি করে ছুটিয়ে নিতে আসেন। টাকা পয়সার বিনিময়ে তিনি চোরাকারবারিদের সহযোগিতা করেন। তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। আজকেও গরু আটকের পরে তিনি গরু ছুটিয়ে নিতে আসেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা বাঁধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এক পর্যায়ে গরু ছেড়ে দেওয়া হয়।’
Sharing is caring!