প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

হতাশ হলে তো গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা, বললেন তাসকিন

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ণ
হতাশ হলে তো গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা, বললেন তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক:
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ডাক এ সময়ের সব ক্রিকেটারের জন্য পরম আরাধ্য এক বিষয়। উপরি পাওনা তো আছেই, তবে যে বিষয়টা একে আরও লোভনীয় করে তোলে, তা হলো ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় নামের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করাটা। তাসকিন আহমেদ সে সুযোগ পেতে পেতে হারিয়েছেন, তাও আবার তা ছিল আইপিএলের ডাক। এরপর এবার পাকিস্তান সুপার লিগেও ডাক পড়েনি তার। এসব নিয়ে কি হতাশা একটু হলেও ছুঁয়ে যায় না তাসকিনকে?

তাসকিন জবাবে যা বললেন, তার সারমর্ম হলো– না, ছুঁয়ে যায় না। এবার মনে হচ্ছিল তাসকিন দল পেয়েই যাবেন। কারণ তার বিপিএল দল দুর্বার রাজশাহীর ইজাজ আহমেদ নিজে জানিয়েছিলেন বিষয়টা। পাকিস্তান কিংবদন্তি ইজাজের লাহোর কালান্দার্সের সঙ্গেও সম্পর্ক বেশ ভালো। তিনি বলেছিলেন, তাসকিনকে নিয়ে কথা বলবেন লাহোরের সঙ্গে। এরপরও তার ডাক এল না পাকিস্তান থেকে।

গত ১৩ জানুয়ারি পিএসএলের ড্রাফট থেকে বাংলাদেশের তিন জন ডাক পেয়েছিলেন—নাহিদ রানা গিয়েছেন পেশোয়ার জালমিতে, লিটন দাসের গন্তব্য হয়েছে করাচি কিংস আর রিশাদ হোসেনকে দলে টেনেছে লাহোর কালান্দার্স। তবু অভিজ্ঞ বাংলাদেশি তাসকিনকে নিতে চায়নি কোনো দল।

আইপিএলে হয়নি, এরপর পিএসএল থেকেও ডাক এল না। সে নিয়ে হতাশা কাজ করে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, ‘হতাশার কী আছে? সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমি যদি নিজের দেশকে ভালোমতো সেবা দিতে পারি, যেখানেই খেলি, যদি ভালো করতে পারি, সুযোগ অনেক আসবে। এর আগে তো তিনবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েও যেতে পারিনি। হতাশাজনক হলে তো এত দিনে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা। আমি একদমই হতাশ নই।’

ড্রাফট থেকে দল না পেলেও দলগুলোর সুযোগ আছে দৈব দুর্বিপাকে খেলোয়াড় টানার। সে কারণে পিএসএলের আশা এখনও ছাড়েননি তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আসলে যেহেতু ড্রাফটে দল পাইনি, কারও বদলি হিসেবে প্রয়োজন পড়লে নিতেও পারে। পিএসএলের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে কারও কথা হয়নি।’

দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেক অবশ্য হয়ে গেছে তার। গেল বছর কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে তিনি খেলেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে। সেখানে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন।

Sharing is caring!