ক্রীড়া প্রতিবেদক:
ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ এক সমীহ জাগানিয়া নাম। নিজেদের মাটিতে তো অতি অবশ্যই, বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের মাটিতেও বেশ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ। সেই ওয়ানডে ফরম্যাটেই হবে পরবর্তী আইসিসি টুর্নামেন্ট, যার আগে সময় বাকি আর এক মাস। ঠিক এই সময় বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে বসলেন রংপুর রাইডার্সের কোচ মিকি আর্থার। জানালেন, দলকে একটা আইসিসি শিরোপা জিততেই হবে।
শেষ দুই-তিন বছরে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে দলের পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ পড়তির দিকে থাকলেও বেশ কিছু অর্জন আছে দলের। ঘরের মাঠে ভারতকে হারানো, এরপর ২০২৩ সালের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে ৯৮ রানে অলআউট করে পাওয়া এক জয় আছে দলের খাতায়।
তবে এমন কিছু দিনশেষে একটা অর্থ বহন করে, যখন দলটা একটা আইসিসির শিরোপা জেতে। কোচ মিকি আর্থার বললেন সেটাই। তার কথা, ‘তারা বেশ ভালো ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে। তবে দিনশেষে আপনাকে বিচার করা হবে শিরোপা দিয়েই। একটা শিরোপা আপনার সব কঠোর পরিশ্রম, নির্বাচন, আপনার তৈরি করা ক্রিকেটীয় ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি এনে দেয়। তাদের অর্জনগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরতে হলে একটা ট্রফি প্রয়োজন বাংলাদেশের।’
মিকি আর্থার দক্ষিণ আফ্রিকান। তিনি নিজ দলের উদাহরণ টানলেন এ প্রসঙ্গে। বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সব ফরম্যাটে শীর্ষ দল ছিল অনেক দিন– তবে তারা কখনো আইসিসি ইভেন্ট জেতেনি। বড় শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয় যে দল, তাদেরকে মানুষ মনেই রাখে না। একই ভাবে বাংলাদেশও একটা শক্তিশালী ওয়ানডে দল। কিন্তু নিজেদের জায়গাটা পোক্ত করতে হলে তাদেরকে মূল্যবান কিছু জিততে হবে।’
শেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ওয়ানডে ফর্মটা পড়ে গেছে। বিশেষ করে ২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু আগ থেকে শুরু হয়েছে এই উলটো রথে চলা। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সিরিজ পর্যন্ত দুটো হোম সিরিজে কেবল হেরেছিল বাংলাদেশ, দুটোই ইংল্যান্ডের কাছে। এরপর দলটা সিরিজ হেরেছে আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার কাছে। যার ফলে দল নেমে গেছে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের নবম স্থানে।
তবে এরপরও মিকি আর্থারের বিশ্বাস, বাংলাদেশের সফল হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা আছে। কেন? এমন বাজে অবস্থানে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার কীর্তি তো সবশেষ আসরেই গড়েছে পাকিস্তান। আর সেই দলের কোচ ছিলেন এই মিকি আর্থারই।
তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা লড়াই। অল্প কথায় বললেন, প্রত্যেকটা ম্যাচই সেখানে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ২০১৭ সালে যখন এই শিরোপাটা জিতেছে, তখন আমাদের র্যাঙ্কিং ছিল আটে। আমরা প্রথম ম্যাচে হেরেও গিয়েছিলাম। এরপর প্রতিটা ম্যাচ জিততেই হতো আমাদের। মোমেন্টামটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাসটা ধীরে ধীরে তৈরি করেছিলাম। বাংলাদেশের সামনে আর সব দলের মতোই সুযোগ থাকবে, যদি তারা তাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলে।’
Sharing is caring!