প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সফরে স্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সময় কাটাতে বিধি-নিষেধ, কারণ কী

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ণ
সফরে স্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সময় কাটাতে বিধি-নিষেধ, কারণ কী

স্পোর্টস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির পর ভারতীয় ক্রিকেটে চলছে তোলপাড়। বিদেশ সফরে গেলে ক্রিকেটাররা স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে আগের মতো আর সময় কাটাতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। ৪৫ দিন বা তার বেশি সময়ের সফরের ক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে ১৪ দিনের বেশি সময় থাকতে পারবেন না বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এছাড়া সফরের প্রথম দুই সপ্তাহও পরিবারের সঙ্গে থাকা যাবে না। ৪৫ দিনের কম সময়ের সফরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো যাবে এক সপ্তাহ।

নতুন এই নিয়ম ভারতীয় ক্রিকেটারদের ওপর এখনো প্রয়োগ করা হয়নি। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে পরিবারের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় কাটানোতে সমস্যা দেখেছে বিসিসিআই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে করা ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফরে ক্রিকেটারদের আলাদা আলাদা গ্রুপে ঘুরতে দেখা গেছে। যাতে অনুপস্থিত ছিল দলের মধ্যকার সৌহার্দ্য। এমনকি প্রতিবেদনে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, পুরো সফরে ভারতীয় দল মাত্র একবার একসঙ্গে নৈশভোজ করেছে।

বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, ‘অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে আধিপত্য দেখানোর পরও সেই একই খেলোয়াড় নিয়ে ভারত দল কেন ভুগছে সেটি নিয়ে বোর্ড উদ্বিগ্ন। দলে উৎসাহী শক্তির অভাবের কারণেই এটি ঘটে। এটাও জানা গেছে, খেলা বা প্রশিক্ষণ শেষেই ক্রিকেটাররা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘খেলোয়াড়রা আজকার পরিবার নিয়ে যায়, সঙ্গে সাহায্যকারীও। এমনকি কেউ কেউ আলাদা হোটেলে থাকার অনুরোধও করে। কেউ কেউ দেশের মধ্যে আলাদাভাবে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এসব ক্রিকেটারকে দলের অন্যদের সঙ্গে খুব কমই দেখা যায়। বোর্ড দীর্ঘ সফরে পরিবারের থাকার সময়কাল দুই সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার কথা ভাবছে।’

আরও বলা হয়েছে, পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের জয়ের পর পুরো দল একবারের জন্যও নৈশভোজ বা ডিনার করেনি। এমনকি প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও নিজের কাছের লোকজন নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্যরা বিভক্ত ছিল বিভিন্ন দলে।

প্রতিবেদন অনুসারে, দলকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত দেখার পর, প্রধান কোচ গম্ভীর ঐচ্ছিক অনুশীলনের সংস্কৃতি বাতিল করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। গম্ভীর চান, দলটি একসঙ্গে প্রশিক্ষণ করুক এবং দল আরও ঐক্যবদ্ধ হোক।

Sharing is caring!