প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকাকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের পাঁচে পাঁচ

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ
ঢাকাকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের পাঁচে পাঁচ

স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার রীতিমত উড়ছে রংপুর রাইডার্স। সিলেট পর্বে টানা দুই দিন মাঠে নামতে হয়েছে তাদের, তবু এতটুকু ক্লান্তি নেই। ঢাকা ক্যাপিটালসের দেওয়া ১১২ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়ে ৪০ বল ৭ উইকেট হাতে রেখেই তারা পৌঁছে গেছে জয়ের দুয়ারে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য এক ওভার হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় রংপুর। সে হিসেবে ঢাকার ১১২ রানের লক্ষ্য তাদের তুড়িতেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা। আদতে হয়েছেন তা-ই।

শুরুতেই ওপেনার আজিজুল হাকিমের (৫) উইকেট হারালেও ক্রিজে থিতু হয়ে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে তার ব্যাটে। এই ইংলিশ ব্যাটারের ২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

এছাড়া পাঁচে নেমে ১৩ বলে ৪ চার এবং ১ ছক্কায় ২৭ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলে রংপুরকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পাকিস্তানের খুশদিল শাহ।

ঢাকার পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন বাবু এবং মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে রংপুর। অন্যদিকে চার ম্যাচের সবগুলো হেরে টেবিলের তলানিতে ধুঁকছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মালিকানাধীন ঢাকা ক্যাপিটালস।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে সব উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে থামে ঢাকা। অভিনেতা শাকিব খানের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তানজিদ হাসানের ব্যাটে। রাইডার্সদের হয়ে ২১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন নাহিদ রানা।

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া রংপুর শুরু থেকেই দাপট দেখায়। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ব্যবহার করেন সাতজন বোলার। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বাদে বাকি সবাই ছিলেন সফল। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খুশদিল শাহ ও আকিব জাভেদ। ঢাকার ব্যাটারদের ভোগান্তি বাড়িয়েছেন মাহেদী হাসান ও কামরুল ইসলাম।

ঢাকার ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ওপেনিং জুটিতে এসেছিল ২৮ রান। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান করেন ১৪ রান। ১৮ রান আনেন জেসন রয়। তিনে নামা তানজিদ হাসান খেলেন ২০ রানের ইনিংস। টানা ব্যর্থ হওয়া লিটন এদিন ফেরেন ৯ রান করেই।

ঢাকার অধিনায়ককে শূন্য রানে ফেরান খুশদিল শাহ। বিপিএলের মাঝপথে দলে আসা মোসাদ্দেক হোসেন খেলেন ১২ রানের ইনিংস। আলাউদ্দিন বাবুর ব্যাটে আসে ১৬ রান। তাতেই কোনো মতে একশ পেরিয়ে ১১১ অবদি যায় ঢাকা।

Sharing is caring!