প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জামালকে আর কত অপেক্ষায় রাখবে বাফুফে?

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৩:৩৭ অপরাহ্ণ
জামালকে আর কত অপেক্ষায় রাখবে বাফুফে?

Manual2 Ad Code

 

Manual2 Ad Code

ক্রীড়া ডেস্ক:

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। চলমান ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমে তিনি নিবন্ধন জটিলতায় পড়েছেন। ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত আবাহনী তার নাম জমা দেয়নি ফেডারেশনে। পরবর্তীতে তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নে যোগ দিলেও সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ব্রাদার্সের পক্ষেও নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি।

Manual1 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

জামাল ভূইয়া এবার ঢাকা আবাহনীর হয়েই খেলার কথা। ৫ আগস্ট পরবর্তী ঘটনায় আবাহনী ক্লাব নানা সংকটে পড়ে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে নির্ধারিত চুক্তির টাকার অঙ্ক কমিয়ে আনে। জামাল ভূইয়াকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে অঙ্ক বলেছিল আবাহনী এতে তিনি রাজি হননি। এটি একেবারে শেষ মুহুর্তে হওয়ায় জামালের পক্ষে অন্য ক্লাবে যাওয়া সম্ভব হয়নি আবার আবাহনীও তার নাম দিতে পারেনি।

আবাহনীর এমন আচরণ নিয়ে বাফুফের কাছে অভিযোগ করেছেন জামাল ভূইয়া। আবেদনের সময় মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। যারপরনাই হতাশ জামাল ডেনমার্ক থেকে বলেন, ‘এক মাসের বেশি হয়েছে আবেদন করেছি। আর কত অপেক্ষা করব। বাফুফে আমার বিষয়টি দ্রুত সিদ্ধান্ত না দিলে আমি এএফসি-ফিফার শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।’

 

জামালের দুঃসময়ে পাশে দাড়িয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা নিবন্ধন সময়ের পরে দলে ভেড়ানোয় লিগের প্রথম লেগে খেলানো অনিশ্চিত। ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলার-ক্লাবের জন্য। ফুটবল মৌসুম শুরু হচ্ছে এক দিন পর এখনো জামাল জানে না তার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত। আমরাও ব্রাদার্স অপেক্ষায় রয়েছি।’ জামাল এখন ব্যক্তিগত কাজে ইউরোপে রয়েছেন। তার মন বাংলাদেশের ফুটবলেই, ‘আমি ফুটবলার, ফুটবল খেলতে চাই। এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো ভাবিনি।’

সাবেক ফুটবলার আমের খান বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এরপরও বাফুফের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়ায় বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি জামাল। তার একটি বিষয় যদি এতদিন ঝুলে থাকে তাহলে একজন সাধারণ ফুটবলারের ভোগান্তি কত হতে পারে।’

 

২০ অক্টোবর জামালের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে দেখা যায় তিনি এই সংক্রান্ত প্রথম আবেদন করেছিলেন ১৫ সেপ্টেম্বর। সেই হিসেবে প্রায় দুই মাস সময় অতিক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। বাফুফের নির্বাচনের পর ৯ অক্টোবর নির্বাহী কমিটির প্রথম সভা হয়। সেই সভায় বিগত কয়েকটি কমিটির চেয়ারম্যান পুর্নবহাল রয়েছেন এর মধ্যে প্লেয়ার স্ট্যাটাস অন্যতম।

প্লেয়ার স্ট্যাটাস বাফুফের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিটি। নির্বাহী কমিটির কেউ এতে থাকেন না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিব আখতার হোসেন খান এই কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন কয়েক মেয়াদে। প্লেয়ার স্ট্যাটাস, ডিসিপ্লিনারি, আপীল এই তিনটি কমিটির সঙ্গে বাফুফে সচিবালয়ের পক্ষে সমন্বয় করে কম্পিটিশিন বিভাগ। এই তিন কমিটির অনেক সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য বাফুফে সচিবালয়কে দায়ী করেন ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code