স্পোর্টস ডেস্ক:
আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধের খেলায় খুব বেশি মুগ্ধ হওয়ার উপায় ছিল না। পুরো ৪৫ মিনিটে আক্রমণে ভীতি ছড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনো গোলের দেখা পাইনি। তবে প্রতিপক্ষ পেরুর গোলমুখে কার্যকরী শট একটাই নিতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই খরা কাটল দ্বিতীয়ার্ধে এসে। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে দারুণ এক চিপ করেন লিওনেল মেসি। ইনফর্ম স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ শূন্যে ভেসে করলেন দুর্দান্ত এক গোল।
তাতেই ডেডলক ভাঙলো আর্জেন্টিনার। ৫৫ মিনিটের সেই গোলেই বছরের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে জয় পেল আর্জেন্টিনা।
এল বোম্বান্বেরা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা যদিও শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি। দলে একাধিক ইনজুরি সমস্যা নিয়েই খেলতে নেমেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগে নিজের পুরো শক্তিটাই পেয়েছিলেন লিওনেল স্কালোনি। সেটার সুযোগ অবশ্য নেওয়া হয়নি তাদের। বলার মতো সুযোগ এসেছিল একবারই।
ম্যাচের ২২ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় বক্সে বল পেয়েছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। আতলেটিকো মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকারের শট পরে ফিরে আসে বারে লেগে। গোলের অতটা কাছে আর যাওয়াই হয়নি আর্জেন্টিনার। প্রথমার্ধে ৭৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখলেও, গোলমুখে শট ছিল একটি। আর অন্তত গোটা ছয়েক শট তারা নিলেও সবই ছিল অফ-টার্গেট।
২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও এক ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল আর্জেন্টিনা।
Sharing is caring!