নিউজ ডেস্ক:
ভারতের মেডিকেল ভিসা চালু থাকলেও অন্যান্য ভিসা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী, পর্যটক এবং সাধারণ নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে বর্তমান ভারত-বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে লাগাতার অপপ্রচার, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাসহ বিভিন্ন কারণে শিগগিরই স্বাভাবিক হচ্ছে না ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত ভিসা বন্ধকে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে দেখছে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের নেতিবাচক মন্তব্যও এ ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে।
ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সংকটকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এটি একটি অজুহাত মাত্র, কারণ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বিদেশি দূতাবাস বাংলাদেশে নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
গত ১৭ অক্টোবর ভারত সরকার জানিয়েছিল, যতক্ষণ না বাংলাদেশে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে’ এবং ‘অনুকূল পরিবেশ আবারও ফিরে না আসছে’, ততক্ষণ সে দেশে তাদের ভিসা কার্যক্রম কোনোমতেই স্বাভাবিক হবে না। এদিকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটাই অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তবুও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনে কর্মরতদের কর্মস্থলে পাঠায়নি দিল্লি।
গত ৯ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। বৈঠক শেষে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। গত ৫ দিনেও ভিসা ইস্যুতে ভারতের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া তো দুরের কথা এ বিষয়ে কোন মন্তব্যও করেনি দেশটি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ কৌশলগত। এটি বাংলাদেশকে পরোক্ষভাবে একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক সিগন্যাল’ দেয়, যাতে তারা তাদের স্বার্থ রক্ষা ও সম্পর্ক বজায় রাখতে গুরুত্ব দেয়। সম্পর্ক উন্নয়নে দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। এক তরফা পদক্ষেপ কোনো সমাধান দিতে পারে না।
Sharing is caring!