প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

লংমার্চ করবে বিএনপি

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
লংমার্চ করবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের উপ ও সহকারী হাইকমিশনে হামলাসহ পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে আজ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল ১০টায় সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হবে গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে। পরে হাইকমিশনারবরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। গতকাল কেন্দ্রের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সংগঠনগুলো। এরপর একই ইস্যুতে ঢাকা থেকে আখাউড়া অভিমুখে সড়কপথে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে। মূল দল বিএনপির নির্দেশনায় সেটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে তিন অঙ্গসংগঠন।

খুব শিগগিরই এ লংমার্চের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কলকাতা ও আগরতলায় উপ ও সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা অবমাননাসহ ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রবিবার (আজ) আমাদের কর্মসূচি শুরু। আমরা গুলশানে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি দেব। পরে লংমার্চ/রোডমার্চসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করব।’

তিন অঙ্গসংগঠনের নেতারা জানান, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীরা। কারণ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিশ্বাস করেন দেশপ্রেম সবার আগে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ। পাশের দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া উচিত ন্যায্যতার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের মানুষও সম্পর্ক চায়। কিন্তু ভারতের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে সে দেশের সরকার বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে। তাই তাদের আগের নীতি পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ কী চায় তার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

Sharing is caring!