প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ণ
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে, এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মানুষ চায় স্থিরতা ফিরে আসুক। সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোনো মূল্যে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে সাংবাদিকদের সম্মানে বিএনপির মিডিয়া সেলের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. পাভেল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

তারেক রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর স্বৈরাচারের সময় শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আপনারা বিএনপির সংবাদগুলো তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি বিএনপি বিটের সাংবাদিকসহ উপস্থিত সব সাংবাদিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

তারেক রহমান বলেন, ২০১৭ সালে প্রথম এবং পরবর্তীতে আবারও আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছিলাম। মহাসচিব তাঁর বক্তব্যে যা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে দেশের কোথাও কেউ একটা কিছু করার চেষ্টা করছে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, এখনো দেখছি।

তিনি বলেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, ১৬ বছর রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সত্য ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন না হয়, আমরা যেন আবার অরক্ষিত না হয়ে পড়ি, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার। আবার বিপদে নিমজ্জিত করার। যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্য একটাই-ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা হয়েছে।

Sharing is caring!