স্টাফ রিপোর্টার:
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। রাত পৌনে ১টায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার পর আর কোনো ট্রেন যাত্রা করেনি। আগে থেকেই টিকিট কাটায় এবং ট্রেন চলাচল বন্ধের খবর না জানায় যাত্রীরা স্টেশনে আসেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ৩৫০টিরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করে। রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মবিরতির কারণে এর সবগুলো বন্ধ রয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে আসা বিলকিস আরা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার সঙ্গে ২টা বাচ্চা রয়েছে। এখন শুনছি ট্রেন চলবে না। বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে যাব, চিন্তায় পড়ে গেলাম।’
হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন ধরার জন্য আগেভাগেই এসেছি। কিন্তু এখন এসে দেখি বলছে, অবরোধ চলছে। তাই ট্রেন চলবে না। এতে তো সমস্যায় পড়ে গেলাম।’
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তারা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
Sharing is caring!