প্রজন্ম ডেস্ক:
• ইংরেজি-আইসিটি ও হিসাববিজ্ঞানে ধরা ময়মনসিংহ
• যশোর-চট্টগ্রাম-কুমিল্লা বোর্ডও ইংরেজিতে ‘ধরাশায়ী’
• ইংরেজি-বাংলায় অটোপাসে সিলেটের ফলাফলে চমক
• ফলাফলে জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অস্থিরতার আঁচড়
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় সেগুলোতে ‘অটোপাস’ পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসএসসিতে ওই বিষয়ে পাওয়া নম্বরই এইচএসসিতে পরীক্ষা না দিয়েই পেয়ে গেছেন তারা। সিলেট বোর্ড বাদে বাকি শিক্ষা বোর্ডগুলোতে মাত্র ছয়টি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাতিল হয়েছে ব্যবহারিক পরীক্ষাও। ফলে সবার প্রত্যাশা ছিল এবার পাসের হারে ‘বড় লাফ’ দেখা যাবে। অথচ ঘটেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন। গতবছর সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও যে গড় পাসের হার ছিল, এবার তা আরও কমেছে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে এবার পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ কম। যদিও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৫৩ হাজার বেড়েছে। তবে পরীক্ষা বাতিল ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল দেওয়ার পর পাসের হার কমায় ফলাফলকে ‘খারাপ’ বলছেন শিক্ষাবিদ ও খোদ বোর্ড কর্মকর্তারা।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়। তার মধ্যে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। বাকি তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা সবারই বাতিল হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ইংরেজি ও আইসিটির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ফেলের হার বেশি। যে বোর্ডগুলোতে এ দুটি বিষয়ে বেশি ফেল করেছে, সেখানে পাসের হারও কমেছে। এতে নিম্নমুখী হয়েছে গড় পাসের হার।
তবে ফলাফল খারাপের পেছনে ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবও রয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যে সময়ে (৪, ৭ ও ৯ জুলাই) শিক্ষার্থীরা ইংরেজির দুই পত্র ও আইসিটি পরীক্ষা দিয়েছেন, তখন সারাদেশে আন্দোলন বেগবান ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছিল শুধুই ছাত্র-আন্দোলনের ছবি, ভিডিও, পোস্টসহ বিভিন্ন কনটেন্ট। যাতে নজর ছিল পরীক্ষার্থীদেরও। এতে প্রস্তুতি থাকলেও স্বাভাবিক পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হারে এবার সবার নিচে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। প্রায় একই রকম পাসের হার যশোর বোর্ডেও। কাছাকাছি অবস্থানে চট্টগ্রাম বোর্ডও। অন্য বোর্ডগুলোর তুলনায় এ তিনটি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার তুলনামূলক অনেক কম, যার প্রভাব পড়েছে গড় পাসের হারেও। মূলত ইংরেজিতে বেশি ফেল করায় এ দুটি বোর্ডে ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী—ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আর যশোর বোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। দুই বোর্ডে যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৭৮ এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেছেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়ও তুলনামূলক ফল খারাপ। বোর্ড দুটিতে যথাক্রমে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ ও ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ খারাপ ফলের নেপথ্যে ইংরেজি, আইসিটি বিষয়ে ফেলকে দুষছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
ইংরেজি-আইসিটি-হিসাববিজ্ঞানে ধরা ময়মনসিংহ
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডে ৬টি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলো হলো—বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা ও হিসাববিজ্ঞান। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বোর্ডে শুধু ইংরেজিতে পাসের হার ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ জনে প্রায় ২৩ জনই ইংরেজিতে ফেল করেছেন।
তাছাড়া বোর্ডটিতে আইসিটিতেও ফেলের হার বেশি। আইসিটি বিষয়ে পাস করেছেন ৭৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এছাড়া হিসাববিজ্ঞানেও পাসের হার কম এ বোর্ডে। মাত্র ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী হিসাববিজ্ঞানে পাস করতে পেরেছেন। বাকি ২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।
অনুষ্ঠিত বাকি চারটি বিষয়ে ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ভালো। বোর্ডটিতে বাংলায় ৯৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ, পদার্থবিজ্ঞানে ৯০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যুক্তিবিদ্যায় ৯৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ে খারাপ করেছে বলে ফলাফলে দেখতে পাচ্ছি। ইংরেজি, আইসিটি ও হিসাববিজ্ঞান। বিষয়গুলোতে খারাপ করার কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রশ্নপত্রে কোনো ঝামেলা ছিল কি না, বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী আগামী বছর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
যশোর বোর্ডে ইংরেজিতেই ফল বিপর্যয়
যশোর বোর্ডে শুধু ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছেন ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী। ইংরেজি পরীক্ষায় প্রতি ১০০ জনে মাত্র ৬৮ জন পাস করতে পেরেছেন। তবে বাকি ৫টি বিষয়ে ভালো ফল করেছেন যশোর বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে বাংলায় পাস করেছেন ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আইসিটিতে ৮৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, পদার্থবিজ্ঞানে ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যুক্তিবিদ্যায় ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, হিসাববিজ্ঞানে ৮৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ইংরেজিতে বেশি ফেলের কারণ অনুসন্ধান করবেন বলে জানিয়েছেন যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তারও। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইংরেজিতে ফেলটা কমানো গেলে ফলাফল অনেক ভালো হতো। পাসের হারও বাড়তো। কেন এটা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবো আমরা।’
ইংরেজিতে ধরাশয়ী চট্টগ্রামও
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডেও ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার মাত্র ৬৯ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে ইংরেজিতে ফেল করেছেন ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী। যার প্রভাব পড়েছে বোর্ডের গড় পাসের হারেও। এ বোর্ডে পাস করেছেন ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের যে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোতে বেশ ভালো করেছে শিক্ষার্থী। শুধু ইংরেজিতে খারাপ হয়েছে। এখানে আমরা পিছিয়ে গেছি।’
ইংরেজিতে খারাপ করেছে কুমিল্লাও
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডেও ইংরেজিতে বেশি ফেল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বোর্ডটিতে ইংরেজিতে ফেলের হার ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। বাকি ৫ বিষয়ে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও ইংরেজির কারণে গড় পাসের হারে পিছিয়ে গেছে কুমিল্লা। অনুষ্ঠিত বাকি বিষয়গুলোর মধ্যে কুমিল্লায় বাংলায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আইসিটিতে ৮৮ দশমিক ৬৪, পদার্থবিদ্যায় ৯৬ দশমিক ২৮, যুক্তিবিদ্যায় ৮৭ দশমিক ৮৩ ও হিসাববিজ্ঞানে ৮৭ দশমিক ৮১ শতাংশ।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি বোর্ডে ইংরেজি, আইসিটিতে খারাপ ফল করেছে। এটার একটা নেতিবাচক প্রভাব গড় পাসের হারে পড়েছে। ঢাকা বোর্ড তুলনামূলক স্বাভাবিক ফল করেছে। বিগত বছরের তুলনায় ফলাফল স্থিতিশীল বলা যায়।’
‘অটোপাসে’ সিলেটের ফলাফলে ‘চমক’
বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হয় দেরিতে। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ৯ জুলাই থেকে আইসিটির মাধ্যমে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হয়। পরে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় সিলেটের পরীক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে আর পরীক্ষা দিতে হয়নি। এসএসসিতে বাংলা ও ইংরেজিতে তারা যে নম্বর পেয়েছি, সেটাই এইচএসসিতে অটোমেটিক তাদের ফলাফলে যুক্ত হয়েছে। এ দুটি বিষয়ে সিলেটে পাসের হার শতভাগ। অনুষ্ঠিত বাকি ৪টি বিষয়ে তুলনামূলক ভালো ফল করায় বোর্ডটি এবার ফলাফলে ‘চমক’ দেখিয়ে সবার শীর্ষে উঠে গেছে।
ইংরেজি ও বাংলা পরীক্ষা না হওয়ায় কিছুটা সুবিধা সিলেটের শিক্ষার্থীরা পেয়েছে বলে মনে করেন বোর্ডটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির আহমদ। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ইংরেজিতে অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা খারাপ করে। সেদিক দিয়ে ওই পরীক্ষাটা না হওয়ায় পাসের হার হয়তো কিছুটা বেশি আমাদের। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই বাকি চারটি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছে সিলেটের পরীক্ষার্থীরা। সেগুলোতে তারা ভালো করেছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।’
‘অস্থির’ সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার প্রভাব ফলাফলে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। ওই সময় থেকে মূলত কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র এবং আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওই সময় কোটা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। যারা সরাসরি অংশ নেননি, তাদেরও দৃষ্টি ছিল এ আন্দোলনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। সময়টিকে ‘অস্থির’ উল্লেখ করে তার প্রভাব ফলাফলে পড়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ২০১২ সালে সৃজনশীল শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটির সদস্যও ছিলেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পাসের হার কিছুটা কমেছে। যদি স্বাভাবিকভাবে সব পরীক্ষা হতো, তাহলে এ ফলাফলকে গড়পড়তা (অ্যাভারেজ) বলা যেতো। কিন্তু অর্ধেকের বেশি বিষয়ের পরীক্ষা তো হয়নি। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী তো ফেল করতোই। অথচ সেগুলো সবাই পাস করেছে। ফল খারাপ হয়েছে কোথায়? ইংরেজিতে, আইসিটিতে… বাংলায় তো আর খারাপ করেনি কোনো বোর্ড।’
ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে তো তুমুল আন্দোলন হয়েছে। ১৩-১৪ তারিখের দিকে তো কলেজছাত্ররাও নেমেছে। সেখানে কি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ছিল না? আমার জানামতে ছিল। অনেক ছাত্রীও ছিল। একটা পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে এমন ছাত্র আন্দোলন হলে, তাতে প্রভাব পড়বেই। কেউ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে, কেউ আবার সারা দিন-রাত ফেসবুকে কাটিয়েছে; সেটার কারণে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও খারাপ পরীক্ষা হতে পারে। এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হওয়ার পেছনে এটাই বড় কারণ বলে আমি মনে করি।’
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন পরীক্ষার্থীদের মানসিক ‘অস্থিরতা’ তৈরি করেছে বলে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘অনেকে হয়তো পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আন্দোলনে নামেনি। অভিভাবকদের বাধাও ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনকার কিশোররাও সক্রিয়। সেখানে তাদের অ্যাক্টিভিটি ছিল।’
‘এ ধরনের অস্থির সময়ে জানা থাকা বিষয়ও অনেক সময় ভুলে যেতে পারে একজন শিক্ষার্থী। মস্তিষ্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তাতে ভিন্ন চিন্তা চলে আসে। পড়াশোনা বা খাতায় যে লিখবে তাতেও মন বসে না। পরীক্ষায় নিশ্চয়ই সেটার প্রভাব থাকতে পারে’ বলও মনে করেন এ মনোরোগবিদ।
Sharing is caring!