প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

হাসিনার দুর্নীতি মামলায় নেই আমলা

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ণ
হাসিনার দুর্নীতি মামলায় নেই আমলা

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার শাসনকালে উন্নয়নে ভেসেছে দেশ। ঋণ করে ঘি খাওয়ার মতো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কর্জ করে। কর্জের টাকা এখন কড়ায়-গ-ায় শোধ করতে হচ্ছে মানুষকে। তলায় হাত দিয়ে দেখা যাচ্ছে, যেখানেই ‘উন্নয়ন-গল্প’ সেখানেই দুর্নীতি। হরকিসিমের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সংঘটিত এসব দুর্নীতি অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো।

উন্নয়নের নামে এমনভাবে টাকা ওড়ানো হয়েছে যে, ক্যালকুলেটরের কোনো ডিজিটে ধারণ করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পসহ হাসিনার মাত্র ৯টি প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে আপাত: কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ৮০ হাজার কোটি টাকা শুধু শেখ হাসিনা এবং তার পরিবার সদস্যদের পকেটস্থ হয়েছে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। এ রকম উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে বহু। একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প. ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প, বিশ্ব সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রম, ঘরে ঘরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, ‘জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষা’ হাসিনার আলোচিত কয়েকটি ব্যর্থ প্রকল্প। এগুলোর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক এখনো হাত দেয়নি। এর বাইরে শত শত প্রকল্প এবং উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। এগুলো নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা নেই। প্রতিটি সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে। আলাপ নেই এসবের।

শেখ হাসিনা পরিচালিত জাতীয় সংসদেই দুর্নীতি নিয়ে হৈ চৈ হয়েছে। সেখানে উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারি কেনাকাটার অর্ধেক টাকা আমলাদের পকেটে যায়-মর্মে শোরগোল শোনা গেছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার মাফিয়াতন্ত্র উৎখাত হয়েছে বটে। কিন্তু অক্ষত রয়ে গেছে হাসিনার রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আমলাতন্ত্র। অভ্যুত্থান চলাকালে মানুষ হত্যা এবং তার পূর্ববর্তী দুর্নীতির প্রতিটি বিষয়ের অগ্রভাগে রাখা হচ্ছে শেখ হাসিনার নাম। দ্বিতীয়ভাগে আসছে শেখ পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম। হাসিনার অনুগত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী,এমপি এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের নামও আসছে। কিন্তু যাদের নাম চামে-চিকনে অনুচ্চারিত থেকে যাচ্ছে তারা হচ্ছেন হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের প্রধান অংশীদার ব্যুরোক্রেট বা আমলাতন্ত্র।

শুধু জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানই নয়-পুরো হাসিনা রেজিমজুড়ে যত হত্যাকা-,গুম,খুন হয়েছে তাতে সমান অংশীদার আমলারা। যত দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে তাতে হাসিনার সমান দায়ী আমলাও। অথচ কী আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিটি মামলা কিংবা অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্ত চলছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। আমলাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অ্যাকশনই দেখা যাচ্ছে না। অথচ প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রতিটি কেনাকাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে আমলাদের। হাসিনা একার পক্ষে কোনো গুম, হত্যা কিংবা লুন্ঠন সম্ভব ছিলো না। আমলরাই ছিলো হত্যাকা-ের প্রধান লাঠিয়াল। সমস্ত দুর্নীতির প্রধান বরকন্দাজ। অথচ হালের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আমলাদের দুর্নীতি সম্মুখে আসছে না। বরং বলা হচ্ছে, কান টানলে মাথা আসবে। হাসিনার দুর্নীতি ধরে টান দিলে আমলা আসবে। যদিও উল্টো করে বললে এটিই সত্য যে, আমলারাই বরং বিভিন্ন প্রকল্প ফেঁদেছে। হাসিনাকে প্রকল্প কিংবা কেনাকাটার অগ্রভাগে রেখে কার্যত: অর্থ লোপাট করেন আমলারা। এ কারণে হাসিনা উৎখাতের পর প্রথম ধাক্কাটি আসা উচিৎ ছিলো ব্যুরোক্রেসির ওপর। সেটি না হওয়ার ট্র্যাজেডি হচ্ছে এই যে, ড.মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পড়েছে আমলাদের জিম্মিদশায়। আমলারা সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করছে। মিছিল করছেন। বক্তৃতা দিচ্ছেন। দাবি-দাওয়া পেশ করছেন। সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করছে। যেটিকে বিশ্লেষকরা চিহ্নিত করেছেন ‘আমলা বিপ্লব’ হিসেবে। হাসিনা দেড় দশকে যেসব ছাত্রলীগ নেতাকে বেছে বেছে ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এ বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা। হাসিনার লুটপাটের সহযোগী হিসেবে যাদের কারাগারে থাকার কথা। সেটি না হওয়ায় তারা দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে উল্টো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে রেখেছে। প্রশাসনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। প্রকাশ্য ও গোপনে চালাচ্ছেন সরকারবিরোধী নানা তৎরপতা। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাসিনার আমলে ‘বঞ্চনার শিকার’ দাবিদার আমরাও।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব ‘বঞ্চিত’ আমলাদের যথাসম্ভব মূল্যায়নের চেষ্টা করছে। একসঙ্গে কয়েকটি পদোন্নতি দিয়ে বিভিন্ন পদে বসাচ্ছে। তাতেও তাদের তুষ্টি নেই। তারাও ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন। যদিও ফ্যাসিবাদ বিরোধী দেড় দশকের লড়াইয়ে এসব আমলাকে মামলা খেতে হয়নি। কারাগারে যেতে হয়নি। কোনো আমলা গুম-খুনের শিকার হননি। এমনকি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালেও কোনো আমলাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছেড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে শরীক হতে দেখা যায়নি। শহীদ হওয়া দূরে থাক,গুলিবিদ্ধও হননি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যাদের প্রকাশ্য কোনো ভূমিকাই নেই তারা এখন দিচ্ছেন দাবির ফর্দ। নির্লজ্জতারও একটি সীমা থাকে।

বেশি দিন আগের কথা নয়। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে এই আমলারাই ‘জনতার মঞ্চ’ করেছিলেন। প্রকাশ্য রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই আমলারাই পরে শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে ‘অবলা’ বনে যান। কারণ হচ্ছে, তারা নিজেরাই হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সিপাহসালার। হাসিনাকে বিনা ভোটে বারবার ক্ষমতায় আনেন তারা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যে আমলারা ‘ইউএনও’ হিসেবে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনেন, তারা এখন যুগ্ম সচিব। তখন যারা ডিসি ছিলেন, তারা এখন সচিব। ২০১৪ সালের পর হাসিনা আমলে যারা অ্যাডমিন ক্যাডার হয়ে এসেছেন এখন দাবি-দাওয়ার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা।

 

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই দুঃসাহস তারা দেখাতো না, যদি হাসিনার গুম-খুন ও দুর্নীতির সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হতো। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতো। গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হতো। কিন্তু সেটি হবার নয়। কারণ হচ্ছে, আমলাদের বিরুদ্ধে যে সংস্থা দুর্নীতির তদন্ত করবে সেই সংস্থাটিই আমলাদের পদানত। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ,তছরুপ, অর্থ পাচার, জাল-জালিয়াতি এবং অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের একমাত্র এখতিয়ারসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি সম্প্রতি পুনর্গঠিত হয়েছে। তাতে অক্ষুণœ রাখা হয়েছে আমলা-কর্তৃত্ব। দুদক সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের প্রবল আপত্তির মুখে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষপদে বসানো হয়েছে একজন আমলা। আমলারা হাসিনার দুর্নীতির প্রধান অংশীদার হলেও বর্তমান কমিশনের মুখোমুখি হওয়াতে কোনেরূপ ‘ঝুঁকি’ বোধ করছেন না। পর্বতসম দুর্নীতি করেও তারা নির্বিকার। অর্থ-বিত্ত সরিয়েছেন আগেই। বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী-সন্তানদের। অনেকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশেই।

দুদক সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ২২১ টি হাইপ্রোফাইল অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছেন আ’লীগ সরকারের ৩৫ জন মন্ত্রী. ৯ জন প্রতিমন্ত্রী, ৮৬ জন সাবেক এমপি, ১জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক একজন ডিজি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী, নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা ২৮ জন, ১০ জন ব্যবসায়ী-শিল্পগ্রুপের মালিক, আ’লীগ নেতা ২৭ জন, সাবেক তিন সিটি মেয়র, সাবেক ২ বিচারপতি রয়েছেন। তাদের ভিড়ে সাবেক আমলা রয়েছেন মাত্র ২ জন। যা কোনো শতাংশের অনুপাতেই আসে না। অথচ, হাসিনার শাসনামলে প্রকল্প ও কেনাকাটার নামে দুর্নীতির অঙ্ক,পরিধি ও বিস্তার বিবেচনায় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আমলাদের নাম থাকার কথা সবচেয়ে বেশি। তারা হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে। বিনিময়ে হাসিনা তাদের দিয়েছেন অর্থ লোপাটের ব্ল্যাঙ্ক চেক। দুদক কার্যক্রমে সেটির প্রতিফলন অনুপস্থিত।

প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে শুধু হাসিনার নাম আসছে। তার দুর্নীতির প্রধান সহযোগী আমলারা কোথায়?’ এমন প্রশ্ন করা হয় দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আকতার হোসেনকে। জবাবে দিলেন গৎবাঁধা জওয়াব। নাম উল্লেখ করলেন, কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, ড. আহমদ কায়কাউস, ড. হেলালুদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ, শাহ কামাল, নজিবুর রহমানের। বললেন, দুদকের মামলায় তাদের অনেককেই ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। অনেক আমলার বিরুদ্ধে ইনডিভিজুয়্যাল ইনকোয়ারি চলছে। আমলাদের ছাড় দেয়ার বিষয়ে নয়া কমিশনের বিশেষ কোনো নির্দেশনা নেই বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা। কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকিটি হচ্ছে, দুদক নিজে থেকে এ পর্যন্ত একজন দুর্নীতিবাজ আমলাকেও সরাসরি গ্রেফতার করেনি। নিদেনপক্ষে মামলাও করেনি। অবৈধ সম্পদের মামলা রুজুতো দূরের কথা।

 

সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল ২০২৩ বলা হয়, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ধারার বিধান স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকারের অধীন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আইনটি পাসের পর পরই হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়। বলা হয়, সংবিধানের দৃষ্টিতে দেশের সব নাগরিক সমান। ফৌজদারি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারে না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আইনটি বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। গতকাল বুধবার তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, রিটটির রুল এখনো পেন্ডিং। শিঘ্রই শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।

এদিকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়ার এই একচেটিয়া সুবিধাটি উপভোগ করছেন হাসিনার দুর্নীতির সবচেয়ে বড় সহযোগীরা। তাদের সরাসরি গ্রেফতার করছে না দুদক। গ্রেফতার দূরের কথা -এ আইনের দোহাই দিয়ে মামলা রুজুতে কুণ্ঠিত দুদক। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের অর্ধেক টাকা আমলারা গিলে খেলেও মামলা হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকা-ের ঘটনায় ডিসি,এডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার পর্যায়ের কয়েকজন আমলাকে আসামি করা হয়। নামমাত্র আসামি করা হলেও তাদের গ্রেফতারের নাম-গন্ধ নেই। হাসিনা আমলে সংঘটিত হত্যাকা-, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অপরাধের সঙ্গে আমলারা যুক্ত থাকলেও মামলার ক্ষেত্রে বাদ পড়ছেন তারা। আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আওয়ামী আমলারা থেকে যাচ্ছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

তবে রুলের দোহাই দিয়ে গ্রেফতার না করা কিংবা আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা না করার আত্মসমালোচনা করে দুদকের একজন পরিচালক নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে বলেন,আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেফতারে আইনগত কোনো বাধা নেই। অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, দুদক আইনের ২১ ও ২৩ (১),(২) ও (৩) উপ-ধারা মতে, অনুসন্ধান ও তদন্ত, মামলা দায়ের এবং আসামিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দুদকের রয়েছে। অভাবটা এখানে সদিচ্ছার।

Sharing is caring!