প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুৎ জ্বালানির বাহবা প্রকল্প

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
বিদ্যুৎ জ্বালানির বাহবা প্রকল্প

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

গ্যাসসংকট জেনেও নতুন নতুন গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে, একাধিক গ্যাসবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প এখন গলার কাঁটা। ঋণের টাকায় নির্মিত গ্যাস পাইপলাইনগুলো পড়ে আছে মাটির নিচে, যার ঘানি টানছে বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। নতুন সাতটি গ্যাসবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে না অথচ ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকারের বিপুল অর্থ গচ্চা যাবে।

অভিযোগ রয়েছে, বাস্তবতা অনুধাবন না করে আর্থিক ও কারিগরি সমীক্ষা ছাড়াই লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পূরণের জন্য কিছু ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থে পাইপলাইনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রী, আমলা ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী সবাই মিলে এসব অপকর্ম করেছেন। বিশেষ বিধানের সুযোগে এসব প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ দেওয়া হয়েছে দরপত্র ছাড়াই।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এগুলো সব বাহবা প্রকল্প। গ্যাস নেই জেনেও বাহবা কুড়াতে পাইপলাইন করা হয়েছে। গ্যাসের সংস্থান না করেই খুলনায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এটা কোনো ধরনের পরিকল্পনা?’ তিনি বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও এমন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। যেমন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হাওরের মাঝখান দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছেন। এতে নদীভিত্তিক যাতায়াতব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, বন্যা হচ্ছে। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ওই এলাকার কৃষি ও মৎস্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে না।’

ফাওজুল কবির বলেন, ‘খুলনায় নির্মিত নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এই শীত মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে এর যন্ত্রপাতি পড়ে থেকে নষ্ট না হয়।’

বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪২০ কোটি ঘনফুট। গড়ে ২৮০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। এর প্রায় ১০০ কোটি ঘনফুট উচ্চমূল্যের আমদানি করা এলএনজি। বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করেও ঘাটতি মেটানো যাচ্ছে না। গ্যাসের সংকট বাড়ছেই। তবু উন্নয়নের নামে করা হয়েছে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন। অন্যদিকে সক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকার পরও করা হয়েছে নতুন গ্যাসবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এসব প্রকল্পের কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ব্যয় বাড়ছে। কেন্দ্রের মালিকদের গত দেড় দশকে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে সরকারকে। অযাচিত ব্যয় শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ঘাড়েই চাপে। প্রায় প্রতিবছর বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘গ্যাসসংকট জেনেও ব্যবসায়ী ও সাবেক সরকারের লোকদের যোগসাজশে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উচিত তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা। পাইপলাইনও নির্মাণ করা হয়েছে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।’

 

বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন : ২০১৬ সালে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পে বিপুল লোকসানের পরও ২০১৮ সালে উত্তরাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্প ব্যয় শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯০ কোটি ১৩ লাখে দাঁড়ায়। এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সাল করা হয়।

জিটিসিএল সূত্রমতে, পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এর সরবরাহের সক্ষমতা দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। ওই পাইপলাইন থেকে সৈয়দপুর, রংপুর ও পীরগঞ্জে দৈনিক ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিতরণের জন্য প্রায় ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বিতরণ লাইন নির্মাণের কাজ করছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। আগামী জুনে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা।

দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জিটিসিএলের নিজস্ব অর্থায়নে ১০ কিলোমিটার পাইপলাইনের নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের জুনে এটি শেষ হওয়ার কথা, যার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়।

 

দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প : ২০০৭ সালে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় গ্যাস সরবরাহে ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬৫ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্প চলা অবস্থায় ২০০৯ সালে ওই এলাকায় ৬০০ কোটি টাকার গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ৩৫০ কোটি টাকায় বিতরণ লাইনের সরঞ্জাম কেনা হয়, করা হয় জমি অধিগ্রহণ। গ্যাস নিশ্চিত নয়, তাই ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাতিল হয়। ঋণনির্ভর ওই দুই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

গ্যাস সরবরাহের জন্য ২০১৬ সালে শেষ হওয়া সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পর্যন্ত আরেকটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আরও প্রায় ৭৪০ কোটি টাকা।

বিতরণ প্রকল্প বিষয়ে ২০১৭ সালে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গ্যাসের প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ‘দায়িত্বহীন’ একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়ে মন্ত্রণালয় ও কমিশনকে ‘মিসগাইড’ করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে, আইএমইডি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে। পরে পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাসের প্রাপ্যতার হিসাবটি একেবারেই সামঞ্জস্যহীন। লাইনের পাইপ ও সরঞ্জাম খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। তদন্ত কমিটি সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সাত কর্মকর্তাকে দায়ী করলেও কেউ শাস্তি পাননি।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসংখ্যা মাত্র ২ হাজার ৩৯৫। অথচ অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ।

ধনুয়া-এলেঙ্গা-নকলা পাইপলাইন : সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশায় প্রায় ৮২৩ কোটি টাকায় ধনুয়া-এলেঙ্গা-নকলা গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। কাক্সিক্ষত গ্যাস না পাওয়ায় এ লাইনও তেমন কাজে আসছে না।

বাড়ছে সঞ্চালন চার্জ : দেশে গ্যাস সঞ্চালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জিটিসিএল। দেশের মোট গ্যাস সরবরাহের ৭৫ শতাংশ সঞ্চালন করে প্রতিষ্ঠানটি। দিনে তাদের সঞ্চালন সক্ষমতা ৫০০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু গ্যাস না থাকায় তারা সরবরাহ করে ২৬০-২৭০ কোটি ঘনফুট।

অপ্রয়োজনীয় পাইপলাইন নির্মাণে বিনিয়োগ এবং ঋণের সুদের ঘানি টানছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর প্রতি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির হুইলিং চার্জ ৪৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১.০২ টাকা করেছে সরকার। এ ব্যয়ের দায় ভোক্তার কাঁধে পড়ছে।

কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও সরকারের সঙ্গে জিটিসিএলের অর্থায়ন আছে। এখন আর্থিক চাপে পড়েছে সংস্থাটি।’ ১৯৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে জিটিসিএল। ওই সময় সঞ্চালন লাইন ছিল ৫৪৪ কিলোমিটার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৬৭ কিলোমিটারে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি লোকসান গুনেছে ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। অথচ প্রতিষ্ঠানটি একসময় বছরে ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা করেছে।

হাজার কোটির কম্প্রেশার স্টেশন এখন স্বেতহস্তী : পর্যাপ্ত চাপে গ্যাস সরবরাহের উদ্দেশ্যে জিটিসিএলের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি কম্প্রেশার স্টেশন নির্মাণ করা হয়। পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার কম্প্রেশার স্টেশনটি গত আট বছরে কখনোই ব্যবহৃত হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের কম্প্রেশার স্টেশনটি ২০২৩ সালে মাত্র ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ সময় ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। স্টেশনটি ২০১৯ সালে সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ সময় চলেছে। এটির ব্যবহারের হার কমেই চলেছে। পেট্রোবাংলা বলছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে যন্ত্রপাতি পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ের জন্য পাঁচটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ৩০৯ কোটি টাকা দিতে হয়েছে।

ধুঁকছে নতুন ৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র : বর্তমানে দেশে যেসব গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, তা পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন করতে গ্যাস দরকার ২৪২ কোটি ঘনফুট। গড়ে ৮৫ থেকে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করায় অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সামিটের সঙ্গে ২০১৯ সালে ইউনিক-মেঘনা ঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৫৯০ মেগাওয়াট এলএনজিভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি করে সরকার। প্রথমটি উৎপাদনে এলেও গ্যাসসংকটে ভুগছে। দ্বিতীয়টির ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে উৎপাদনে আসার কথা।

নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট এলাকায় ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার ও জাপানের জেরা ৭১৮ মেগাওয়াটের আরেকটি গ্যাসবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে ২০১৯ সালে।

গ্যাস সংস্থান না করেই খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) ৮০০ মেগাওয়াট ও ২০০ মেগাওয়াট এবং পিডিবির ৩২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। অলস বসে থাকলেও কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকারকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা দিতে হতে পারে।

কূপ খননে শতকোটি টাকা গচ্চা : অগভীর সমুদ্রের ১৬ নম্বর ব্লকের ইজারা পেয়েছিল অস্ট্রেলীয় কোম্পানি সান্তোস। এ ব্লকে গ্যাস পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা না থাকায় এবং উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তির (পিএসসি) মেয়াদ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ায় তারা ব্লকটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। পরে সান্তোসের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তারা ২০১৬ সালে বাপেক্সের সঙ্গে যৌথভাবে মগনামা-২ কূপে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের প্রস্তাব দেয়। যদিও বাপেক্সের বিরোধিতা ছিল। কারণ বাপেক্সের ভূতত্ত্ববিদরা নিশ্চিত ছিলেন মগনামায় গ্যাস নেই। তারপরও সান্তোস ২৩০ কোটি টাকায় কূপ খননের কাজ পায়। ১৩ দিনের মধ্যেই তারা পেট্রোবাংলাকে জানায়, মগনামা-২ কূপে গ্যাস নেই। গ্যাস না পেলেও ১২৯ কোটি টাকা সান্তোস আগেভাগেই নিয়ে নেয় অথচ এমন বিধান ছিল না। নিয়ম ভেঙে সান্তোসকে প্রকল্প গছিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট ও আমলারা।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘ক্যাব’ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছিল, নাইকো চুক্তির মতো সান্তোস চুক্তিতেও দুর্নীতি হয়েছে।

Sharing is caring!