প্রজন্ম ডেস্ক:
গোলান মালভূমির কাছে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করায় ইসরায়েলের নীতিকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও কাতার। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করছে।
সৌদি আরব ইসরায়েলের ভূমি দখলের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমি একটি আরব ভূখণ্ড এবং ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ড সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। মুখপাত্র এসমাইল বাঘায়ি সতর্ক করে বলেছেন, এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ গুরুতর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ড সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের প্রতি স্পষ্ট আঘাত। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের দখলদারত্বের নীতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও সহিংসতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
গত রোববার গোলান মালভূমি সংলগ্ন বাফার জোন দখল করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অধিকৃত গোলান মালভূমি চিরদিনের জন্য ইসরায়েলের অধীনে থাকবে। এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
Sharing is caring!