প্রজন্ম ডেস্ক:
বিশ্ব ইতিহাসে আবার রচনা হলো সর্বস্বৈরতন্ত্র পতনের অনন্য এক ইতিহাস। এবার সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে অর্ধশতাব্দীর পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছে তার মিত্রদেশ রাশিয়া। তবে তাকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে।
আসাদের পতনের খবরে দামেস্কের রাস্তাগুলো মেতে ওঠে উৎসবে। তবে সিরিয়ায় নতুন ভোর এলেও দিগন্ত অন্ধকার করে রেখেছে মেঘ। কেবল সিরিয়ায় নয়, এই মেঘের ব্যাপ্তি গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই। পশ্চিমা দেশগুলোর একাংশও সেখানে চরমপন্থার উত্থানের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, উচ্ছ্বাস একসময় থিতিয়ে আসবে। আসাদের সাবেক অনুগতদের প্রতি গভীর ঘৃণা ও ক্ষোভ দেখা দেবে। একে সামাল দেওয়া সহজ হবে না। আবার কুর্দি, বিদ্রোহী আর আসাদপন্থায় বিভক্ত সিরিয়ার শাসনভার কারা নেবে তাও নিশ্চিত নয়। একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই তাদের মধ্যেও কার্যকর ঐক্য কঠিন। বরং ক্ষমতার ভাগ পেতে সবাই মরিয়া হয়ে উঠবে। সবমিলিয়ে থেকে যাচ্ছে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটির সাধারণ মানুষের ভাগ্যবদল হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ও কাটছে না।
বিদ্রোহীদের বিজয় মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাতান্ত্রিক মানচিত্রেও বদল আনবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের জয় তুরস্ক ও ইসরাইলকে সুবিধা দেবে। বিপদ ডেকে আনবে ইরানের জন্য। মধ্যপ্রাচ্যের বাদবাকি দেশগুলোর জন্যও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। ঘনীভূত হবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।
ক্ষমতাচ্যুতি : টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন আসাদ। এর আগে তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ টানা ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেন। আসাদের পালানোর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ৫৩ বছরের আল-আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান হলো। গতকাল রোববার সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে (লাইভ) বলা হয়, বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছাড়লেও কোথায় গেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ছেড়ে গেছে। সেটায় বাশার আল-আসাদ থাকতে পারেন। উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
মৃত্যুর গুঞ্জন : সিরিয়ার বিদ্রোহীরা যখন দামেস্কে প্রবেশ করেন, সে সময় দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ইলিউশিন-৭৫ উড়োজাহাজ আকাশে উড়াল দেয়। ‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ দামেস্ক থেকে উড়াল দেওয়া সবশেষ ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরাডার ২৪। তাদের তথ্য বলছে, দামেস্ক থেকে ছাড়া ইলিউশিন-৭৫ উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরে ঘুরে (ইউটার্ন) উড়ে যেতে শুরু করে। কয়েক মিনিট পর সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার সময় বিমানটি হোমসের ওপর ছিল। তবে এতে বাশার আল-আসাদ ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। যদিও টাইমস অব ইসরাইল সিরীয় সূত্রের বরাতে বলছে, বিমানে আসাদ ছিলেন!
দামেস্কের চিত্র : রোববার সকালে দামেস্কে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। একজন বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, তিনি গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। দামেস্কের বারজেহ এলাকায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা ঢুকে পড়েছেন। সেখানে লড়াই চলছে। দামেস্কে এখন বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ইন্টারনেটের গতি খুবই শ্লথ। লোকজন ঘরের বাইরে খুব একটা বের হচ্ছেন না। দামেস্কের দুজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তাঁরাও গোলাগুলির শব্দ শোনার কথা বলেছেন। তবে গুলির শব্দ কোথায় থেকে আসছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘মুক্ত সিরিয়া’য় কারাবন্দিদের মুক্তি : আসাদের পতনের পর দামেস্কের কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে প্রবেশ করেন বিদ্রোহীরা। তারা কারাগারের ফটক খুলে দেন। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, কারাগার থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালানোর পর একটি ঘোষণা দেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়া এখন মুক্ত। জালিম শাসক বাশার আল-আসাদের হাত থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্ন : দামেস্কেই আছেন বাশার আল-আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাজি আল-জালালি। এখন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার প্রশাসন থাকবে তার হাতে। আল-জালালি বলেছেন, ‘আমরা বিদ্রোহীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। তারাও হাত বাড়িয়েছে। দৃঢ়ভাবে বলেছি যে তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবে না।’ বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এক বিবৃতিতে বলেন, দামেস্কে অবস্থানরত সব বিরোধী বাহিনীকে সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করতে নিষেধ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান আল-জালালির তত্ত্বাবধানেই থাকবে।
বিভক্ত সিরিয়া : আসাদ শাসনের অবসানের পর সিরিয়া এখন নানা ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রাধান্যশীল ৩ টি গ্রুপ হলো হায়াত তাহরির আল-শামস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ফোর্স, কুর্দি ফোর্স আর আসাদপন্থি আলাউইত ফোর্স।
বিদ্রোহী জোট : হায়াত তাহরির আল-শামস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ফোর্স তুরস্কের সমর্থনপুষ্ট। তুরস্কের সঙ্গে লাগোয়া উত্তরের সীমান্ত ও জর্দানের সঙ্গের দক্ষিণের সীমান্তসহ মধ্য সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। এদের মধ্যে সাবেক আল-কায়েদা ও আইসিস সদস্য যেমন আছে, তেমনি আছে সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মতো সেক্যুলার ফোর্সও। এই ন্যাশনাল আর্মি ২০১১ সালে আসাদবিরোধী বিদ্রোহের সময় শাসকের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।
কুর্দি বাহিনী : কুর্দি গোষ্ঠীগুলি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। সেই অঞ্চলগুলোর উত্তরে তুরস্ক এবং পূর্বে ইরাক সীমান্ত। কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমর্থন পেতে থাকে। উত্তর-পূর্বে তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করে। আঙ্কারা কুর্দিদের ক্ষমতায়নকে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।
আলাউইত বাহিনী : আসাদপন্থি আলাউইত গোষ্ঠীর প্রাথমিকভাবে পশ্চিম সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাধান্য ছিল। ইরান, ইরাক এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক তাদের। বিদ্রোহীদের রাষ্ট্র দখলের পরও এই অঞ্চলগুলো আসাদ-সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর অবশিষ্টাংশের জন্য একটি শক্ত ঘাঁটি হিসাবে কাজ করতে পারে। এতে বাড়তে পারে সাম্প্রদায়িক বিভাজন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশন বলছে, পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য মধ্যস্থতাকারীর অনুপস্থিতিতে সিরিয়ায় প্রাধান্যশীল বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে তীব্র বিভাজন ইঙ্গিত দেয় যে সিরিয়া এখন দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের মুখোমুখি হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার মানচিত্রে প্রভাব কী হবে : আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া আর ইরান। এর মধ্যে রাশিয়া ব্যস্ত ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে। আর ইরান ও তার প্রক্সি ফোর্সগুলো ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলায় ব্যস্ত। এ কারণেই সিরীয় বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার একটি কৌশলগত সুযোগ তৈরি হয়।
তুরস্ক ইতিমধ্যে উত্তর সিরিয়ার একটি ভূখণ্ড কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। যেখানে তার সামরিক বাহিনী লড়ছে সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে। আঙ্কারার এই মিত্রদের দামেস্ক দখলের সঙ্গে সঙ্গে তুরস্ক সিরিয়ায় তার রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে কুর্দি সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের লড়াই আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
ইসরাইলও কৌশলগতভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আসাদের পতন লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজায় হামাস এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মতো তেহরানের তথাকথিত ‘প্রতিরোধের অক্ষ’কে ভয়াবহ পরিণতিতে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরানের সমালোচনামূলক সামরিক সরবরাহ লাইনগুলো সম্ভবত বিচ্ছিন্ন করা হবে, গোষ্ঠীটিকে বিচ্ছিন্ন করা হবে এবং সম্ভবত এটি আরও দুর্বল হবে।
উপরন্তু, সিরিয়া আরও বেশি করে জাতিগত ও ধর্মীয় বিভক্তির মধ্যে যাওয়ায় ইসরাইলের প্রতি আঞ্চলিক ফোকাস কমে যাবে। এই যেমন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ইরানের হুমকি’ মোকাবিলায় ফোকাস পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন।
ইরাক এবং লেবাননের জন্য, এই অস্থিতিশীলতা তাদের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। জাতিগত এবং ধর্মীয় চরমপন্থাকে সঙ্গী করে সিরিয়ার এই স্বৈরতন্ত্র বিদায়ের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকে তাদের নিজস্ব স্বায়ত্তশাসনের অনুসরণে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উৎসাহিত করতে পারে। এর ফলে বিভাজন সৃষ্টি এবং সমগ্র অঞ্চলে সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
যদিও অনেক সিরিয়ান আসাদের পতন উদযাপন করেছে, তাদের জীবনে অনেক উন্নতি হবে কি না তা দেখার বিষয়। সিরিয়ায় একটি ঐক্যবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের অনুপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলবে, মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে এবং সম্ভাব্য চরমপন্থাকে উসকে দেবে।
এদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ইরানকে। আসাদ ইরানের আঞ্চলিক প্রক্সি নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন। তার সরকারের পতনে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব এখন মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। আসাদের পতনের পরপরই দামেস্কের ইরান দূতাবাসে হামলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে তেহরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
এদিকে সরাসরি ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষের ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে তেহরান। বিদ্রোহীদের তড়িৎগতির আক্রমণের মুখে আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর সিরীয় ভূখণ্ডে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পরপরই ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ ট্যাংক।
আর সিরিয়ার বিভক্তি তুরস্ক, ইরাক, জর্ডান এবং লেবাননের মতো প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। প্রবল হয়েছে উদ্বাস্তু ঢল, আন্তঃসীমান্ত সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা। তুরস্ক ইতোমধ্যে ৩ মিলিয়নেরও বেশি সিরীয় শরণার্থীদের স্থান দিয়েছে – যাদের মধ্যে অনেকেই আশা করছে যে আসাদের সরকার চলে যাওয়ায় এখন তারা দেশে ফিরে আসবে।
স্কাই নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ইরানের কাছে সিরিয়া ছিল তার প্রতিরোধের অক্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে। সিরিয়াই হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর মাধ্যম, তার প্রভাবের চাপে ছিল গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। তবে আসাদ এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই এখন ভেঙে পড়েছে এবং ইরানের শিয়া প্রভাবের নেটওয়ার্ক ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এটি সিরিয়ার জন্য একটি নতুন ভোর, তবে দিগন্তে অন্ধকার মেঘ রয়েছে।
ফ্রান্স আসাদের পতনকে স্বাগত জানালেও সেখানে ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছে। আশঙ্কা জানিয়েছে চরমপন্থার উত্থানের। জার্মানিও আসাদের পতনকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা সতর্ক করেছে, দেশ কোনভাবেই যেন চরমপন্থিদের হাতে বন্দি না হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, সিএনএন, কনভারসেশন, রয়টার্স, স্কাই নিউজ
Sharing is caring!