প্রজন্ম ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেন তারা। জানুয়ারিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউক্রেন, ও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতেও কথা বলেন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দুই প্রতিদ্বন্দী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এ দিন হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাক্ষাত করেন বাইডেন ও ট্রাম্প। সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে নীরব উদ্বেগ দেখা গেছে।
বৈঠকটি প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জঁ পিয়েরে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশের ও বিশ্বের মুখোমুখি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। এটি সত্যিই খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ, খুবই কোমল ও মৌলিক ছিল।’
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই ভালো বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল ইউরোপ আমেরিকাকে যুদ্ধে টেনে আনা থেকে রক্ষা করবে।
তবে ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি কীভাবে তা করবেন এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।
নিউ ইয়র্ক পোস্টকে ট্রাম্প বলেছেন, কথোপকথনের সময় তিনি ও বাইডেন ‘মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খুব বেশি কথা বলেছেন।’
ট্রাম্পের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘আমাদের অবস্থান ঠিক কোথায় এ নিয়ে আমি তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম এবং তিনি সেগুলো আমাকে জানিয়েছেন। তিনি খুব বিনয়ী ছিলেন।’
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন ড্রেমোক্র্যাট বাইডেন। তবে রিপাবলিকান ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বিপর্যয়কর বিতর্কের পর জুলাইয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনি দৌঁড় থেকে সরে দাড়ান তিনি। তখন দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে তীব্র সমালোচনা করেছেন বাইডেন ও ট্রাম্প। বাইডেন ৮১ বছর বয়সে ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অন্যদিকে ৭৮ বছরের ট্রাম্প বাইডেনকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির ভিত্তিহীন দাবি তুলেছিলেন তিনি, যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
Sharing is caring!