প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রে তাপপ্রবাহের চাপ, আর্থিক ক্ষতিও বিপুল

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
সমুদ্রে তাপপ্রবাহের চাপ, আর্থিক ক্ষতিও বিপুল

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ বাড়ছে। এতে সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে শুধু ঘূর্ণিঝড়জনিত আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে বছরে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এ ছাড়া চরম জীবিকা সংকটে পড়ছে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। জলবায়ু-সংক্রান্ত বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এ প্রকাশিত ‘ওশেন ইক্সট্রিমস এস এ স্ট্রেস টেস্ট ফর মেরিন ইকোসিস্টেম অ্যান্ড সোসাইটি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, ‘২০২৩ ও ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ আগের যেকোনো বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ গুণ বেশি ছিল। এল নিনোর কারণে গত দুই বছরে জলবায়ু পরিবর্তন আরও তীব্র হয়েছে এবং সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের একাধিক রেকর্ড জন্ম দিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী কয়েক বিলিয়ন ডলার সম্পদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

গবেষণায় অংশ নেওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের খাদ্য ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণে মহাসাগর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক তাপমাত্রা এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

 

গবেষণায় দেখানো হয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী তীব্র সামুদ্রিক তাপমাত্রার ফলে ব্যাপক কোরাল ব্লিচিং, মৎস্য ও সামুদ্রিক খামার বন্ধ, মৃত তিমি ও ডলফিনের ভেসে আসার সংখ্যা বেড়েছে। এমনকি এই ঘটনাগুলো স্থলভাগে তাপপ্রবাহ ও ভয়াবহ বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও ত্বরান্বিত করেছে।

এদিকে ‘অ্যানালাইসিস অব মেরিন হিটওয়েভস ওভার দ্য বে অব বেঙ্গল : ১৯৮২ থেকে ২০২১’ শীর্ষক ২০২৩ সালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়, ‘এই সময়ে ভারত মহাসাগরে ১০৭টি সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ (এমএইচডব্লিউ) হয়েছে।’ সেখানে বঙ্গোপসাগরের এমএইচডব্লিউ ঘটনার কারণ, প্রভাব এবং প্রবণতা অনুসন্ধান করা হয়। মাসিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগস্ট ও নভেম্বরে এমএইচডব্লিউ সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল এবং এপ্রিল-মে মাসে তা চরম আকার ধারণ করে। তাতে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে বছরে ৩টি সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ হয়ে থাকে।

বঙ্গোপসাগরে সবচেয়ে তীব্র তাপপ্রবাহের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে (৩১ মার্চ থেকে ৭ জুন ২০১৬)। তখন টানা ৬৯ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল এবং সর্বোচ্চ তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ২৯ ডিগ্রি এবং গড় তীব্রতা ছিল ২ দশমিক শূন্য ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (জলবায়ু গড়ের ওপরে)। ৬৯ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তীব্রতা ছিল ৭ শতাংশ দিনে।

তা ছাড়া দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ স্থায়ী হয়েছিল ৯১ দিন (২০ জুন-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)। এটির মান ছিল ১ দশমিক ৬২ থেকে ১ দশমিক শূন্য ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে সি সারফেস টেম্পারেচারের সর্বোচ্চ মান ছিল ২৯ দশমিক ৯৩ ও সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

তাপমাত্রায় বাড়ছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা

তীব্র সামুদ্রিক তাপমাত্রার কারণে বঙ্গোপসাগরসহ অন্য সাগর-মহাসাগরগুলোতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও এসব ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতাও বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় ওশেন ইক্সট্রিমস এসএ স্ট্রেস টেস্ট ফর মেরিন ইকোসিস্টেম অ্যান্ড সোসাইটি শীর্ষক গবেষণায়। তাতে বলা হয়, ‘২০২৩-২৪ সালে এশিয়াজুড়ে একাধিক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ও ২০২৪ সালের ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এই দুটি ঝড়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েক লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। সরাসরি আক্রান্ত করেছে ৯০ লাখের বেশি মানুষকে। রেমালে প্রায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট হয়েছে।’

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছরে বঙ্গোপসাগরে কতটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও আঘাত হেনেছে তার একটি হিসাব দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, ৩৪ বছরে বঙ্গোপসাগরে ৯০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে ও উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ৩৩টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। এই সাড়ে তিন দশকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় ছিল ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩৩টি ও কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ছিল ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে ১৩টি।’

এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘গবেষণায় আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা বাড়ছে বলে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে; সে ব্যাপারে আমরা সহমত পোষণ করছি। কেননা ১৯৪৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে আমাদের একটি গবেষণা রয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ভূপৃষ্ঠের তাপপ্রবাহের ঘোষণা ও সতর্কতা দিয়ে থাকি। সাগরের তাপপ্রবাহের বিষয়টি দেখা হয় না।’ এটি দেখা প্রয়োজন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাগরে আমাদের অবজারভেশন নেই।’

 

চরম উষ্ণতায় ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র

গবেষক দলের অপর সদস্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র লেকচারার ড. কারেন ফিলবি-ডেক্সটার বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ ক্রমাগত রেকর্ড ভেঙে নতুন মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে, যা আমাদের আধুনিক ইতিহাসে কখনও দেখা যায়নি। এই চরম উষ্ণতা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, মৎস্য শিল্পের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে এবং চরম আবহাওয়ার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে। আমরা যদি এখনই বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিই, তাহলে সামুদ্রিক তাপমাত্রা আরও ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছবে।’

 

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

এদিকে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, যদিও এল নিনো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ তীব্র করেছে। তবে পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ সহনীয় রাখতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে দ্রুত পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গবেষক দলের সদস্য যুক্তরাজ্যের মেরিন বায়োলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক ড. ক্যাথরিন ই স্মিথ বলেছেন, সর্বোপরি সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ এবং এর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। আপাতত কিছু সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ কিছুটা সফলতা দেখিয়েছে কিন্তু এগুলো স্থায়ী সমাধান নয়।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে গুরুত্ব দেওয়া সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ স্ট্র্যাটেজিক ক্লাইমেট ফান্ডের (সিআইএফ) নাগরিক সমাজ পর্যবেক্ষক ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহারের পাশাপাশি আমাদের নজর দিতে হবে বৈশ্বিক ও স্থানীয় পর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগের দিকে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাষ্ট্র নিজ দেশে কঠোর নীতি অনুসরণ করলেও অন্য দেশে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কার্বন নির্গমন বাড়াচ্ছে, যা পরিবেশগত ন্যায্যতার পরিপন্থি। উদাহরণস্বরূপ, জাপান তাদের দেশে কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদন না করে তা বাংলাদেশে স্থাপন করছে। তাই এই ধরনের ‘কার্বন লিকেজ’ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে হবে।’

এম জাকির হোসেন খান আরও বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে ফসিল ফুয়েলে প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সরকারিভাবে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা অর্ধেকে নামিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে পুনর্বিনিয়োগ করতে হবে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মেরিন হিটওয়েভের কারণে মাছের ব্যাপক মৃত্যু ঘটছে, প্রবাল ধ্বংস হচ্ছে এবং সামুদ্রিক খাদ্যশৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি হ্রাসের পাশাপাশি সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণে গবেষণা ও সুরক্ষা উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হবে।’

সমুদ্রগামী জাহাজের অতিরিক্ত চলাচলের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রগামী জাহাজের অতিরিক্ত চলাচলের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিকল্প জ্বালানির অভাবে সামুদ্রিক পরিবহন থেকে প্রচুর নির্গমন হচ্ছে। তাই জাহাজে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে বিকল্প জ্বালানি যেমন গ্রিন হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়ার মতো সমাধান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। ২০২৩-২৪ সালে সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস পাওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ দেশ আগাম ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তাই ভবিষ্যতে প্রতিটি অঞ্চলে কার্যকর পূর্বাভাস ব্যবস্থা তৈরি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

 

বঙ্গোপসাগরে প্রতি দশকে গড়ে ০.১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে

সামুদ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্যে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে রাষ্ট্র সমুদ্র গবেষণায় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক কমডোর মো. মিনারুল হক বলেন, ‘ইউএসইপিএ’র তথ্যমতে, বিশ শতকে সামগ্রিকভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা ক্রমাগত বাড়ছে। ১৯০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, প্রতি দশকে গড়ে ০.১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জার্নাল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরেও কয়েক দশক ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৪৫ বছরে প্রায় ০.২ থেকে ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অগভীর অঞ্চলের সামুদ্রিক উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, বিশেষ করে শৈবালের। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রায় প্রতি বছর এলগাল ব্লোমস দেখা যায়, এতে ব্লোমসংলগ্ন এলাকার সামুদ্রিক প্রাণীর আবাস্থলে অক্সিজেন-স্বল্পতায় তাদের স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

Sharing is caring!