প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর বুকে নেমে এসেছে ‘একখণ্ড ফিলিস্তিন’

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর বুকে নেমে এসেছে ‘একখণ্ড ফিলিস্তিন’

 

স্টাফ রিপোর্টার:

রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। চারদিকে শুধু মিছিলের গর্জন। এ যেন রাজধানীর বুকে নেমে এসেছে একখণ্ড ফিলিস্তিন।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আগে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ নাগরিকদের ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

 

সমাবেশে আসা মানুষ গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু মূসা বলেন, আজ আমরা গাজাবাসীর কণ্ঠস্বর। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শিশু মরছে, মা কাঁদছে। আমরা আর চুপ করে থাকতে পারি না। আর জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় ইসরায়েল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমন অবস্থা বাংলাদেশ সরকারকেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে জোরালো অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।

 

আব্দুস সবুর নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, গাজার প্রতিটি শিশু, নারী ও সাধারণ নাগরিক আজ নিরাপত্তাহীন। মানবতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এখনই কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময়।

এরইমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু হওয়ার সময় নির্ধারিত রয়েছে।

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মার্চ ফর গাজা গণসমাবেশ। সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হয়েছেন লাখো মানুষ। অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি টহল দিতে দেখা গেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, শাহবাগ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের আশপাশে সেনাবাহিনীর টহলরত যানবাহন ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হচ্ছেন অংশগ্রহণকারীরা। মিছিলের মাঝেই সেনা টহল দেখা যায়। এছাড়া সেনাবাহিনীর গাড়িগুলোকে এগিয়ে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতাও করতে দেখা গেছে।

 

মার্চ ফর গাজা আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’। আয়োজকদের মতে, কর্মসূচির উদ্দেশ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

 

আজ বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও এই আয়োজনে সরব সমর্থন জানিয়েছেন।

বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের আগে পর্যন্ত চলবে এই গণসমাবেশ। এতে ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারীসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরও সক্রিয় উপস্থিতি হয়ে সমর্থন জানিয়েছেন।

Sharing is caring!