প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রায় উচ্ছ্বাসে বাড়িফেরা

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৯:১৫ অপরাহ্ণ
ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রায় উচ্ছ্বাসে বাড়িফেরা

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

অন্য রকম এক ঈদযাত্রা। মহাসড়কে শুক্রবার (২৮ মার্চ) যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও তেমন ভোগান্তির শিকার হননি ঘরমুখী মানুষ। কিছু এলাকায় সড়কে ছোটখাটো বা বিচ্ছিন্ন জটলা হলেও কোথাও দীর্ঘ সময় আটকে থাকার মতো অবস্থা হয়নি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত অনেকটা স্বস্তিতে যাতায়াত করেছেন মানুষ। তবে বাস ভাড়ায় অন্যবারের মতোই নানা ফন্দি এঁটে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় ও বকশিশের নামে পরিবহনে চাঁদাবাজির মতো বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়।

শুক্রবার রাজধানীর তিন বাস টার্মিনাল (গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী), কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য। পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এবার যথেষ্ট শৃঙ্খলা ও স্বস্তি ছিল বলে জানিয়েছেন খবরের কাগজের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, একদিকে লম্বা ছুটি, অন্যদিকে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতায় অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ।

 

শিডিউল বিড়ম্বনা ছিল না রেলের, খুশি যাত্রীরা

শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। ৫ থেকে ১৫ মিনিট বিলম্বে কয়েকটি ট্রেন ছেড়েছে। তবে তা নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ ছিল না। দুপুর ২টার দিকে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে। এ ট্রেনের যাত্রী আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের দুই-তিনদিন আগে যখন বাড়ি যেতে কমলাপুর আসতাম, স্টেশনে ঢুকতেই তো কত বিড়ম্বনা পোহাতে হত। মনে করেছিলাম ভিড়ে, ধাক্কায় বুঝি ট্রেনে ওঠা যাবে না। কিন্তু এ যে দেখি নতুন চিত্র! ট্রেনযাত্রায় এত স্বস্তি আগে মেলেনি। রেলওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে হয়।’ সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন। বেলা সাড়ে ৪টার দিকে ছেড়েছে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট চেকিং পয়েন্টে ছিলে কড়াকড়ি। বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ থেকে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করে অনেক যাত্রী এদিন বিপাকে পড়েন। কারণ সেসব টিকিট ছিল জাল। একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন যাত্রী যাবেন শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশনে। টিকিট চেকার জানালেন তার টিকিট ফটোশপে এডিট করা। পরে তাকে জরিমানাসহ ওই গন্তব্যের ভাড়া আদায় করে যেতে দেওয়া হয়।

পরিবারের ৪ জন সদস্য নিয়ে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে যাচ্ছিলেন একজন নারী। তার টিকিটে ৪ জন পূর্ণবয়স্কের ভাড়া দেখানো হয়েছে। কিন্তু পজ মেশিনে চেক করে দেখা যায়, সেই টিকিটে একজন পূর্ণবয়স্ক ও তিনজন শিশুর ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পরে জরিমানাসহ আরও তিনজন পূর্ণবয়স্কের ভাড়া আদায় করা হয়।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যাত্রীদের বারবার সতর্ক করে দেওয়ার পরেও যখন তারা কালোবাজারি টিকিট সংগ্রহ করছেন, তখন তাদের কী বলার থাকে। নিজের ভুলের শাস্তি হিসেবে জরিমানা দিচ্ছেন তারা।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে সিটের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করে প্রতিদিন ১৫ হাজার যাত্রী চট্টগ্রাম ছাড়ছে। শুক্রবার সকালে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা ও জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা দেরিতে চট্টগ্রাম ছাড়ে। এসময় ওই দুই ট্রেনের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

 

গাবতলী বাস টার্মিনাল

শুক্রবার শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী বাসস্টান্ডে ঘুরে দেখা যায়-বাস টার্মিনালে মোটামুটি যাত্রীর চাপ থাকলেও অন্যান্য বছরের মতো উপচেপড়া ভিড় নেই। শুক্রবার ঈদের ছুটির প্রথম দিনে যাত্রীর সংখ্যা কম দেখা গেছে। শতাধিক কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ব্যস্ততা কম। বাসের সংশ্লষ্টরা জানান, শুক্রবার ঘরমুখো যাত্রীদের মধ্যে তুলনামূলক স্বল্প আয়ের মানুষ বা গার্মেন্টস কেন্দ্রিক কর্মীদের উপস্থিতি অনেক বেশি ছিল। আজ শনিবারও এমন যাত্রীচাপ থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টায় গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কের আন্ডারপাসের দক্ষিণ অংশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বুলবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, পাবনায় জন্য গাবতলীতে এসে অনেক সময় ধরে কাউন্টারগুলোতে খোঁজ করেও কোনো টিকিট পাননি। কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ইঞ্জিন কাভারে বসার শর্তে একজন গাড়িতে উঠতে বলেছিলেন, কিন্তু এর জন্যে ভাড়া চাওয়া হয় ৯০০ টাকা। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ভালোমানের ননএসি বাসের ভাড়া ৫০০-৬০০ টাকা। এ জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যে কোনো গাড়ি পেলেই উঠে যাবেন বলে জানান তিনি।

এসময় গাবতলীতে টার্মিনাল ও সামনের সড়কে বেশ যাববাহনের চাপ দেখা যায়। অনেকে ব্যাগ হাতে বা কাঁধে ঝুলিয়ে অপেক্ষমান বাসের হেলপার-সুপারভাইজারদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি করছিলেন। সড়কে যানবাহনের অনেক বেশি চাপ থাকলেও সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় চলাচলে গতি ছিল। তীব্র রোদ ও সূর্যের উত্তাপ থাকলেও গাড়ির কিছুটা গতি থাকায় যাত্রীরা তুলনামুলক কম ভোগান্তির শিকার হন। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, লোকাল বাসগুলোয় ওই সময়ে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী উঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। মাইকিং করে লোকাল বাসের কর্মচারিরা যাত্রী তুলছেন। ভাড়াও তুলানামূল বেশি নিচ্ছেন।

ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়ি যাচ্ছিলেন নাটোরের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম। তিনি দেশ ট্রাভেলসে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টিকিট না পেয়ে লোকাল বাসে ওঠেন। ভাড়া বেশি দিয়েও বাসে ওঠার পরে তার মুখে স্বস্তির হাসি দেখা যায়।

কল্যাণপুরে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী খালিদ বলেন, গত শুক্রবার থেকে যাত্রীরা ঢাকা ছাড়ছেন। যারা এখন যাচ্ছেন তারা বেশিরভাগই আগে টিকিট কিনে রেখেছিলেন। স্বস্তিতেই সবাই বাড়ি যাচ্ছেন।

মহাখালী বাস টার্মিনাল

মহাখালী বাস টার্মিনালেও শুক্রবার বেশ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা যায়। তবে শৃঙ্খলা ছিল টার্মিনাল কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনায়। বিকালে সাড়ে ৩টায় কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ইউনাইটেড ট্রান্সপোর্ট পরিবহনের একটি বাস। ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে কাউন্টারের পাশে যাত্রীদের অপেক্ষা। একটি বাস ভর্তি হলেই কাউন্টার থেকে চালককে ডাকা হয়। ৩টা ৪৫ মিনিটে কাউন্টারের সামনে থাকা বাসটি ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও টার্মিনালের অন্যান্য বাসের সামনেও টেবিল নিয়ে বসেছে কাউন্টার। সেখানেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে যাবেন ফিরোজ আহমেদ নামে এক যাত্রী। তার সঙ্গে ছিল পরিবারের চার সদস্য। তিনি বলেন, এখানে যাত্রীর চাপ আছে, কিন্তু ভোগান্তি মনে হচ্ছে না। কারণ বাসের কমতি নেই। বাসের সিট ভরে গেলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্টারগুলোতে টিকিটের দামও স্বাভাবিক আছে বলে জানানি তিনি। বিকাল ৪টার সময় টার্মিনালের ভেতরে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়াগামী অন্যন্যা পরিবহনের কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।

টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে রয়েছে শ্যামলী বাংলা পরিবহনের কাউন্টার। একটি ছোট টেবিলে বসে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল। যাত্রীরা সেখানে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন। শফিকুল আলম নামে একজন যাত্রী জানান, তিনি একটি কারখনার শ্রমিক। বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায়। স্বাভাবিক সময় টিকিটের মূল্য ৪৮৫ টাকা, ঈদের সময় ৫০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। এবার ঈদযাত্রায় তেমন ভোগান্তি নেই।

 

বাসযাত্রায় স্বস্তি রাজধানীতে, বাড়তি ভাড়ায় ভোগান্তি দূরপাল্লায়

ছুটির দিন সকালে রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল; মিরপুরের বাসা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় রাজধানীর ফকিরাপুলের কাউন্টারে আসতে আধা ঘণ্টাও লাগেনি শারমিন আহসানের। মেয়ে অর্থি আর মায়মুনাকে নিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় যাচ্ছিলেন তিনি। স্বামী সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় কর্মরত, ঈদে তার ছুটি মেলেনি। তাই দুই মেয়েকে নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তিনি।

সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলমুখী বাসের কাউন্টারগুলোতে শুক্রবার যাত্রীদের বেশ চাপ দেখা গেছে। বিশেষ করে হানিফ, মধুমতি, গোল্ডেন লাইন, ইলিশ, ফাল্গুনী, ইমাদ, শ্যামলী, দোলা পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ইমাদ পরিবহনে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, ‘এখন আর আগের মতো চাপ নেই ঈদযাত্রায়। পদ্মা সেতু হওয়ার পর নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারছি।’
গোপীবাগে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা সুপার ও যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টারম্যানরা জানান, কিশোরগঞ্জ স্বল্প দূরত্বের জেলা হওয়ায় আগাম টিকিট বিক্রি হয়নি। এবার যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকায় কাউন্টার থেকে যথাসময়ে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে বাসযাত্রা ছিল স্বস্তির। বাসে আগের তুলনায় চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিবহন কর্মী ও ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় নগরীর বাস কাউন্টারগুলোতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। নগরের বিআরটিসি, দামপাড়া, অলংকার, একেখান, কর্ণেলহাট বাস স্টেশনে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলে স্বস্তির চিত্র পাওয়া গেছে। তাদের কারো মুখেই এবার ভোগান্তিতে পড়ার কথা শোনা যায়নি। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে গড়ে প্রতিদিন ৩০ হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করছে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো।’ মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রুট এবং উত্তরের জেলাগুলোর পথেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে যায়। ঢাকা থেকে শিবচরের পাচ্চর পর্যন্ত বাস ভাড়া ২০০ টাকা হলেও ঈদযাত্রায় ৪০০-৫০০ টাকা গুণতে হয়েছে যাত্রীদের।

শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া, তারাব, বরাব, বরপা ও রূপসী এলাকায় ছিল তীব্র যানজট। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে আড়াইহাজারের পুরিন্দাবাজার পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার অংশে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। অন্যদিকে ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে নেমেছিল মোটরসাইকেলের ঢল। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, এতে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির জট সৃষ্টি হয়। মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা এলাকায় ৭টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা করে ৩টি বুথ রাখা হয়েছে। তাও পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয়েছে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, বুধবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২০ হাজার ২৪১ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

Sharing is caring!