
প্রজন্ম ডেস্ক:
এবার সরকারের আমলাদের অপসারণের দাবিতে রাজধানীতে পোস্টারিং করা হয়েছে। এসব পোস্টার রাজধানীর তোপখানা রোড, সচিবালয়সহ সেগুনবাগিচা এলাকায় দেওয়ালে দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে ছাপানো এসব পোস্টারে সরকারের পাঁচজন সচিব ও তিনটি অধিদফতরের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার ছবি ছাপানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব পোস্টার দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশাসনের যে ৮ কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে রাজধানীতে পোস্টারিং করা হয়েছে এদের মধ্যে সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সচিব হচ্ছেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। এছাড়া অপর তিনটি সংস্থার তিন শীর্ষ কর্মকর্তা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
জানা গেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে সরকারের এই ৮ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে ছাপানো পোস্টারে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রীয় সংস্কার কাজ নস্যাতের মূল হোতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আমলাদের অপসারণ করুন”। পোস্টারে এই ৮ কর্মকর্তার ছবিও ছাপা হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এসব পোস্টার রাতের অন্ধকারে রাজধানীর বিভিন্ন দেওয়াল বিশেষ করে সচিবালয়ের আশেপাশের দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মেট্রোরেলের বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনের আশেপাশে এবং এর পিলারে লাগানো ব্যাপক পরিমাণের পোস্টার চোখে পড়েছে। তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে পোস্টার লাগানো হলেও এর সঙ্গে যুক্ত কাউকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় পোস্টার লাগানোর সময় একজনকে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম রবিউল, তিনি রাজধানীতে লালবাগ এলাকায় বসবাস করেন। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পোস্টারগুলো লাগাচ্ছেন। রবিউল জানিয়েছেন, ৫০০ পোস্টার লাগাতে পারলে এক হাজার টাকা পাবেন।
রবিউল জানিয়েছেন, রাজধানীর পল্টন এলাকায় বসবাসকারী মো. আলম নামে একজন এসব পোস্টার লাগানোর জন্য তাকে বলেছেন। তার সঙ্গে আরও চারজন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগানোর কাজ নিয়েছেন। প্রত্যককেই একই হারে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রবিউল।
যেসব কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম মো. আবদুর রহমান খান। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। এরআগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি সহকারী কমিশনার (কর), উপ-কমিশনার (কর), যুগ্ম কমিশনার (কর), কর পরিদর্শন পরিদফতরের উপ-মহাপরিচালক, বিসিএস কর একাডেমির পরিচালক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সরকারের উপসচিব হিসেবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এবং উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থ বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বাজেট, বাস্তবায়ন, প্রশাসন এবং ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সিভিল সার্ভিসের গণ্ডির বাইরে তিনি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজার এবং পূর্ব তিমুরে বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট হিসেবে পেট্রোলিয়াম ট্যাক্স নিয়ে কাজ করেছেন।
একজন পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে মো. আবদুর রহমান খান ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ-এর কাউন্সিল সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, সচিব ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন অ্যান্ড কো-অপারেটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এবং কনফেডারেশন অব এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পাবলিক সেক্টর অ্যাডভাইজরি গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট নিয়োগ পান। সেদিনই তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এরআগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন। তারও আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
নাজমা মোবারেক। তিনি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। গত বছরের ৩১ অক্টোবর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এ বিভাগে যোগদানের পূর্বে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত ২০২৩ সালের ৫ জুন সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান এবং ৬ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সচিব হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। নাজমা মোবারেক বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ২৫ এপ্রিল ১৯৯৪ সালে তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুরে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জামালপুরে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সহকারী সচিব হিসেবে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ বিভাগে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ে তিনি জাতীয় বাজেট প্রণয়নের সাথে জড়িত ছিলেন এবং তিনিই প্রথম নারী অতিরিক্ত সচিব যিনি সাফল্যের সাথে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেন। সেনা কল্যাণ সংস্থা, জীবন বীমা করপোরেশনের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ’ সিস্টেম স্থাপন টিমে তিনি একজন সদস্য ছিলেন। ওই সিস্টেম স্থাপন ও সফলভাবে বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সিস্টেমটির জন্য তিনি দলগতভাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করেন।
ফারহিনা আহমেদ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব। তিনি ২০২২ সালের ২২ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। সরকারি চাকরিতে ৩০ বছরের পথ পরিক্রমায় তিনি অর্থ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব এবং উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তিনি বিসিএস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক এবং ওই একাডেমির সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. আহমেদ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একাদশ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
নাজমুল আহসান ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর সচিব হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ত্রয়োদশ ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসাবে, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট, নেত্রকোনা সদর ও নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে এবং কুমিল্লা জেলায় নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হিসাবে কাজ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর ও চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। নাজমুল আহসান সাতক্ষীরা এবং খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে মাঠ প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব ও যুগ্মসচিব হিসাবে এবং বিদ্যুৎ বিভাগে উপসচিব ও যুগ্মসচিব হিসাবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পূর্বে পেট্রোবাংলা’র পরিচালক (প্রশাসন) হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নাজমুল আহসান সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৫ ও ২০১৬ সালে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৭ সালে খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক হিসাবে কর্মরত থাকাকালে জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জনপ্রশাসন পদক’ লাভ করেন। এছাড়া ২০২২ সালে পেট্রোবাংলা’র চেয়ারম্যান পদে কর্মকালে তিনি শুদ্ধাচার পুরস্কার পান।
মোহাম্মদ শামীম আখতার। গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯১ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিটি বিষয়ে ২০০২ সালে বুয়েট থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারে ১৫তম (১৯৯৫) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিনি ১৯৯৮ সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৮ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পান। তিনি বিগত ২০১৮ সালের ৮ মে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং একই প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি পেয়ে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ড. মো. ফখরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক ফখরুল ইসলামকে ইউজিসির সচিব পদে বদলি করা হয় গত বছরের ১১ আগস্ট। তিনি কমিশনের যুগ্ম সচিব ও পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির এ বিশেষজ্ঞ। তিনি এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পার-১) উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বা স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহযোগী অধ্যাপক পদে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে বলে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে।
ডা. নাসির উদ্দীন ১৯৯৭ সালে বিসিএস ১৭তম ব্যাচের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ২৫ বছরের অস্ত্রোপচার জীবনে তিনি সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার, রেসিডেন্ট সার্জন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে দায়িত্ব পালন করেন।
অপসারণের দাবিতে পোস্টারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকার যতদিন এই পদে রাখবেন, ততদিনই আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। এর বেশি তো বলার কিছু নাই।
জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক জানিয়েছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাকে যেখানে সরকার পদায়ন করবে সেখানেই দায়িত্ব পালন করবো। সরকার অন্যত্র বদলি করে দিলে সেখানে কাজ করবো। এর বেশি তো বলার কিছু নাই।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ জানিয়েছেন, পোস্টারিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নাই। সরকার এ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে যেখানে দেবে সেখানে কাজ করবো। এ নিয়ে ভাবনার কিছু নাই বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!