
প্রজন্ম ডেস্ক:
প্রতিদিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাজার পরিস্থিতি। খাদ্য, পানি, জ্বালানি সবকিছুর সংকটে জর্জরিত উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজার সরকারি গণমাধ্যমের প্রধান ইসমাইল থাওয়াবতে জানিয়েছেন, উপত্যকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের প্রথম ধাপে প্রবেশ করেছে।
গাজায় এখন কোনো খাদ্য নিরাপত্তা নেই। সব বাজার ফাঁকা, পাওয়া যাচ্ছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি সুপেয় পানির সমস্যাও প্রকট আকার ধারণ করেছে। জ্বালানি না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেকগুলো পানির কূপ।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, ২ মার্চের পর তারা গাজায় কোনো খাদ্য সহায়তা পাঠাতে পারেনি। ত্রাণের অভাবে বেশিরভাগ বেকারিও বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে পাওয়া যাচ্ছে না ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য। প্রতিদিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটানোর কথা উল্লেখ করে গাজার এক বাসিন্দা বলেন, আমার খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
এর মধ্যেও আমরা রোজা পালন করছি। এই পৃথিবীতে আর কে সহ্য করে? আমাদের ওপর দয়া করুন। এদিকে, পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারছে না ৮০ শতাংশ হাসপাতাল। অ্যানেস্থেসিয়ার সরবরাহ না থাকায় সার্জারি করাও সম্ভব হচ্ছে না।
গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি জানায়, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে না দেওয়া হলে দুর্ভিক্ষ আরও বড় আকার নেবে।
Sharing is caring!