
প্রজন্ম ডেস্ক:
সামিয়া ঢাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। লেখাপড়ায় বেশ ভালো। স্বপ্ন প্রকৌশলী হওয়ার। একদিন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকা ওকে প্রশ্ন করেন। উত্তরটা মনোপূত না হওয়ায় শিক্ষিকা বলেন, ‘তোমার চেয়ে আমার ছোট বাচ্চা এই প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে দিতে পারবে।’
শিক্ষিকার এই তিরস্কারে সামিয়ার ভীষণ অভিমান হয়। রাতে মনের ক্ষোভ-অভিমান উজাড় করে ফেসবুকে সে পোস্ট দেয়, ‘বেঁচে থাকার নেই মানে, যেখানে আমার চেয়ে ছোট বাচ্চাটা বেশি বলতে পারে।’ এরপরই সে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। ওদিকে পোস্ট দেখে এক বান্ধবী সামিয়ার পরিবারকে তাৎক্ষণিক জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মৌ (ছদ্মনাম) ঢাকার স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অনলাইনে বান্ধবীর এক বন্ধুর পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা এবং একপর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। আলাদা বাসা নিয়ে সংসার শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। তা থেকে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি। হঠাৎ একদিন ব্লেড দিয়ে নিজের বাম হাতের অনেকটা জায়গা কেটে ফেলেন। তারপর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা গ্রহণ। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন যে এটা করা ঠিক হয়নি। সামিয়া কিংবা মৌয়ের মতো অনেকেই নিজেদের আবেগ সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
প্রিয়জনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা শিক্ষক বা বন্ধুদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়ার মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মনে আবেগ-অভিমান তৈরি করতে পারে। অনেক সময় এই অভিমান তাদেরকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। একপর্যায়ে রাগ আর অভিমানে ধাবিত হন আত্মহননের পথে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে আত্মহত্যাকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশই অভিমান থেকে এভাবে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার্থী ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থী ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং উচ্চতর স্তরের শিক্ষার্থী ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
ব্যস্ত জীবনে নানা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে শরীরে যেমন চাপ পড়ছে, তেমনি বাড়ছে মানসিক অসুস্থতাও। সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকের মধ্যেই সচেতনতা কম। দেশের মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।
শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশা, পরীক্ষার চাপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে অধুনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারে নানা ধরনের মানসিক সংকটে থাকছেন উঠতি বয়সিরা। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব চাপ মোকাবিলায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টি বরাবরেই থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
রাজধানী ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, এসব নিয়ে এই প্রতিবেদক কথা বলেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠান-প্রধানদের সঙ্গে।
যা বলছেন শিক্ষার্থীরা
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী শাহিন ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার মানসিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি। পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছি না। সরকারি নাকি বেসরকারি চাকরি করব তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও সচ্ছল বলা যাবে না। উপরন্তু কলেজে বিভিন্ন আন্দোলন তো আছেই।’
ঢাকার ইউসেপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নাইমা (ছদ্মনাম) বলেন, ‘পারিবারিক ও একাডেমিক চাপে ভীষণ ভুগছি। আমার ইতোমধ্যে প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়েছে। বাসায় গিয়ে শান্তি পাই না। বাবা-মায়ের মধ্যে চিল্লাচিল্লি আছে। এমনকি কয়েকবার সুইসাইড অ্যাটেম্পও নিয়েছি।’
ঢাকার স্বনামধন্য আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বাইরে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা এক নয়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে অনীহা তৈরি হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সহায়তা নেই। তা থাকলে আমাদের সমস্যাগুলোর হয়তো সমাধান হতো।’
আমেরিকান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাশ্বত জামান বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবাটা খুব বেশিই প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। আর আমাদের এখানে এটিকে বড় কোনো সমস্যা হিসেবেই বিবেচনা করা হয় না। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের উচিত মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক প্রত্যাশা এবং সামাজিক মানদণ্ডের কারণে মানসিকভাবে ভীষণ চাপে থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা থাকলে তারা তাদের উদ্বেগ ও হতাশা দূর করার উপায় শিখতে পারে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উদাসীন
ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা থাকলেও অধিকাংশ সরকারি ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সেই সুযোগটুকু নেই। কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে তাদের সেভাবে কোনো প্রস্তুতিও নেই। এ ছাড়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়ার পক্ষপাতী ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক তানভির হাসান। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি আবেগী হয়ে থাকে। বয়সটা এক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর। তা ছাড়া শিক্ষাজীবনে তাদের নানা প্রত্যাশা, বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক, সন্তান ঘিরে পরিবারের স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশার চাপ, শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার চাপ ওদেরকে সামাল দিতে হয়। আবার আমাদের দেশে শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন। তারা কোনো কিছু সহজে জানাতে চায় না। তবে আমি চেষ্টা করি তাদের সমস্যা শনাক্ত করতে। যথাযথ সহায়তা করে সমস্যাটা সমাধানেরও চেষ্টা থাকে।’
অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি
অনেক অভিভাবক মনে করেন উঠতি বয়সে এসব হবেই। তারা মানসিক চাপকে কোনো সমস্যা হিসেবে দেখতেই রাজি না। অনেকে আবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করলেও কার্যক্ষেত্রে নিজেই সচেতন নন। কেউ কেউ এমন এটাও মনে করেন যে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে হলেই মানসিক সব চাপ কেটে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তান মোবাইল ফোনে আসক্ত। তাকে মোবাইল ফোন দিলেই সে শান্ত। তাকে আলাদাভাবে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
আবদুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ভালোভাবে অবগত নই যে কোনটি মানসিক সমস্যা। সেখানে আমার সন্তানের মানসিক সমস্যা কীভাবে বুঝব? তবে হ্যাঁ, আমাদের সবার এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। একই সঙ্গে সমস্যাটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং কাউন্সেলিং করা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সুবিধা থাকা দরকার বলে মনে করি।’
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক ভ্রান্ত ধারণা ও বৈষম্য বড় বাধা। এসব নিরসনে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যম সামগ্রিকভাবে কাজ করতে পারে। পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরে একজন শিক্ষার্থীর বেশি সময় কাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সুতরাং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট আদিবা আক্তার জানান, অনেক শিক্ষার্থীই মানসিক নানা সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসেন। তাদের মধ্যে যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তার মধ্যে হতাশা, পারিবারিক কলহ, পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, ধর্মীয় সমস্যা, অতিরিক্ত চিন্তা, ক্যারিয়ার, যৌন হয়রানি, মুড সুইং, আত্মবিশ্বাসের অভাব, মৌলিক চাহিদার অপূর্ণতা, মানসিক চাপ, প্যানিক ডিজঅর্ডার, ফোবিয়া ডিজঅর্ডার, প্রেমঘটিত সম্পর্ক, শারীরিক সমস্যা, ঘুমের ঘাটতি, আর্থিক অসচ্ছলতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে পরিবার, সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সচেতন নয়। জুলাই বিপ্লবের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আক্রমণাত্মক হওয়ার মতো মনোভঙ্গি বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। লেখাপড়ায়ও মনোযোগী হতে পারছেন না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।’
পরিসংখ্যান ও গবেষণার তথ্য
গত ১৮ জানুয়ারি আঁচল ফাউন্ডেশন একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই জরিপের তথ্যমতে, বিগত ২০২৪ সালে দেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশই মাধ্যমিক স্তরের। অর্থাৎ ওরা সবাই ১৩ থেকে ১৯ বছরে বয়োসন্ধি সময়ের শিক্ষার্থী।
জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি, ২৯ শতাংশ। এরপরই রয়েছে খুলনা, ১৭ দশমিক সাত এবং চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক আট শতাংশ।
সম্ভাব্য সমাধান ও পদক্ষেপ
বিশেষত তারুণ্যের মধ্যে নানা কারণে আত্মহননের মতো প্রবণতাকে বড় একটি সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন লেখক ও আইনবিদ নওফল জমির। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছেন তিনি।
নওফল জমির বলেন, ‘আত্মহত্যার চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা আইনের যৌক্তিকতায় দুর্বল। তবে আইনের পরিবর্তন করে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং পক্ষপাতহীন ও উদ্বেগহীন শিক্ষাব্যবস্থা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে হয়তো আত্মহত্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু ব্যক্তি যে পরিবেশে জীবনযাপন করে তার মধ্যে স্বচ্ছতা, সাম্যতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা না গেলে টেকসই মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখা কষ্টকর। সরকারের কাছে নির্দিষ্ট পাঠক্রমসহ একটি নীতি প্রস্তাব তুলে ধরা যেতে পারে; যেখানে অন্যান্য মানসিক সমস্যা যেমনÑ হতাশা, রাগ নিয়ন্ত্রণ, আত্মকেন্দ্রিকতা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আঁচল ফাউন্ডেশন সুপারিশ করেছেÑ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মানসিক স্বাস্থ্য অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম, বন্ধু সহযোগিতা গ্রুপ গঠন, লাইফ স্কিলস ওয়ার্কশপ আয়োজন, গেমিফিকেশন টেকনিক, ফিলিংস অ্যালার্ম সিস্টেম চালু, পারিবারিক কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম, সৃজনশীল থেরাপি ক্লাস, ডিজিটাল মেন্টাল হেলথ ক্যাম্পেইন, রিভারসাইড হেলথ রিট্রিট পরিকল্পনা, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির স্কলারশিপ, আত্মহত্যা প্রতিরোধ গবেষণা তহবিল, জীবন সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতি দিবস, কৃতজ্ঞতা চর্চা সেশন ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপেন হেল্প লাইন চালু করা যেতে পারে।
Sharing is caring!