প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা: সংবিধানে যা বলা আছে

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ণ
রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা: সংবিধানে যা বলা আছে

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

 

‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনো দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে নেই।’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন বক্তব্য একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং শেখ হাসিনার সরকার পতনে মূল ভূমিকায় থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্রপতির সমালোচনায় মুখর হন।

আগে থেকেই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করার কথা বলে আসছেন ছাত্রসংগঠনের নেতারা। তখন এ নিয়ে আলোচনা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তার বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কি না, তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’

এখন প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই কী রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে? বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ সম্পর্কে বলা আছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ বা অভিশংসন করার ক্ষমতা রাখেন। আবার রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিন মাসের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করতে হবে। এই মুহূর্তে এর কোনোটিই সম্ভব না। কেননা, সংসদ কার্যকর নেই। স্পিকারও নেই। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকবেন প্রধান বিচারপতি।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘এখন তো অনেক কিছুই সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে না। অতএব, এখন অপসারণ করতে হলে করবে। এখন তো বিভিন্ন জায়গায় দাবির মুখে বহু লোককে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারক থেকে সরকারের সচিবসহ অনেককে তো দাবির মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে তো সংবিধানের সম্পর্ক নেই। সংবিধানে কী আছে, না আছে এখন তো সেটা মুখ্য না। অভ্যুত্থানে যে নতুন সরকার তৈরি হয়েছে, এই সরকার জনগণের যেটা ভালো সেটার জন্য কাজ করছে। এখানে সংবিধানের সঙ্গে দু-এক জায়গায় মিলে যায় তো মিলে গেল, আর না মিলে গেলে কিছু যায় আসে না।’

সুপ্রিম কোর্টের আরেক সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছেন, ‘এখন আইনের কথা চিন্তা করার দরকার নেই। এখন যা হবে তা এমনিতেই হবে। রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় বা কারও কথায় চলে যেতে পারেন। কারও কথায় চলে যাওয়া অসম্ভব কিছু না। ক্ষমতায় যারা আছেন, তারা বললেই চলে যাবেন। সরকার ও সেনাবাহিনী চাইলে এটা এক মুহূর্তের ব্যাপার।’

Sharing is caring!