প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ষোল সতেরো বছরে সীমান্তে এতো হত্যা হয়েছিল শেখ হাসিনা নিশ্চুপ ছিলেন-রুহুল কবির রিজভী

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ষোল সতেরো বছরে সীমান্তে এতো হত্যা হয়েছিল শেখ হাসিনা নিশ্চুপ ছিলেন-রুহুল কবির রিজভী

জুড়ি সংবাদদাতা:
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ উপদেষ্টা ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সীমান্ত হত্যা নিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে অনেক প্রতিবাদ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত স্বান্তিপূর্ণ সীমান্ত ঘোষনার লক্ষ্য নিয়ে। তবে আওয়ামী লীগ ব্যাতীত যারাই ক্ষমতায় এসেছিলেন সীমান্ত শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য আহবায়ন করা হয়। কিন্তু ভারত এটি শুনেনি। তারা ফেলানীর মত সীমান্তে স্বর্ণা দাস কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ।

সীমান্তের এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার উদাসীন কেনো? কেন আপনারা জোড়ালো আওয়াজ তুলছেন না? একটি নিষ্পাপ কিশোরী মেয়েকে হত্যার মতো দৃষ্টতা যে দেশ দেখাতে পারে সেই দেশকে কেন কড়া প্রতিবাদ জানানো হলো না? ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে হিন্দু নাকি মুসলমান তা দেখে গুলি করে না, সীমান্তে তাদের মূল টার্গেটই হলো বাংলাদেশীরা।

রোববার ৬ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক হত্যার শিকার জুড়ী উপজেলার কালনীগড় গ্রামে নিহত স্বর্ণা দাসের বাড়ির পাশে খাগটেকা বাজার মাঠে এক সভায় এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গত ১৬-১৭ বছরে সীমান্তে এতো হত্যা হয়েছিল শেখ হাসিনা নিশ্চুপ ছিলেন। তার সময়ে পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে একদিন ও একটি প্রতিবাদও জানায়নি ভারতকে। স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। তারপরও দেশনেত্রী স্বৈরাচারী সরকারের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা সেই নেত্রীর দল করি। আমরা সেই নেতার দল করি যেই নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি জাতিকে একটি দেশ এনে দিয়েছে। ৭৫ এর পরে বাকশালের কালো অন্ধকার গর্ত থেকে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গত ১৫ বছরের আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দেশ নায়ক তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে গোটা জাতিকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যেভাবে প্রস্তুত করেছেন তার ফসল জুলাই আন্দোলন। যা ৫ আগস্ট সফল হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা বিএনপি পরিবার নামে দেশ নায়ক তারেক রহমান নিজেই প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন গঠন করেন। যা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন, হাত হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, যারা যুবলীগ ছাত্রলীগ গুন্ডাদের আক্রমণে আজও হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর যারা গুম খুন হয়েছে তাদের পরিবারের সাথে দলের যোগাযোগের জন্য এই সংগঠন গঠন করা হয়।

কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু। এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

Sharing is caring!