প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

টিউলিপের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অপরাধ সংস্থা

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
টিউলিপের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অপরাধ সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুর্নীতির অভিযোগে গেল মাসে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীত্ব হারাতে হয়েছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে। যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টারের পদ হারানোর পর এবার তার এমপি পদ নিয়েও চলছে টানাটানি। আর এই পরিস্থিতিতে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) কর্মকর্তারা।

টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য নিতে এনসিএ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেছেন। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেইল অন সানডে’।

গত মাসে হওয়া এই বৈঠকে ব্রিটিশ দলকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন।

‘দ্য মেইল অন সানডে’ জানিয়েছে, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাই, ইমেইলের তথ্য যাচাই এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে পাবনার রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনা এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিকও। বলা হচ্ছে, টিউলিপ এতে মধ্যস্থতা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বাংলাদেশের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ দলটি ব্রিটেনে বালাদেশি কর্মকর্তাদের দ্বারা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ চুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে হয়ত তদন্ত করতে পারে।

জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি সময়ের জেল হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ-এর কর্মকর্তারাই এই গোপন বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এরপর ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এটি আয়োজন করে।

এরআগেও এনসিএ-এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেটি গত বছরের অক্টোবরে। সেবার তারা কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে তারা সহায়তা করবেন।

Sharing is caring!