প্রবাস ডেস্ক:
রিফিউজি স্ট্যাটাস বা শরণার্থী মর্যাদা পাওয়া ব্যক্তিদের ভ্রমণ পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে সুইডিশ সরকার৷ সুরক্ষার অপব্যবহার ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্টকহোম৷ খবর ইনফো মাইগ্রেন্টসের।
গত সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন সরকার৷ দেশটির পুলিশ এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সুইডিশ দূতাবাসগুলোকে যৌথভাবে শরণার্থীদের ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ে একটি প্রক্রিয়ার তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি৷
কর্তৃপক্ষের মতে, এমন উদ্যোগের উদ্দেশ্য আশ্রয় ব্যবস্থার অপব্যবহার বন্ধ করা৷ এর মাধ্যমে যেসব ব্যক্তিদের আর সুরক্ষার প্রয়োজন নেই তাদের শনাক্ত করতে চাই সুইডিশ কর্তৃপক্ষ৷
সুইডিশ অভিবাসনমন্ত্রী জোহান ফরসেল বলেন, ‘যদি কেউ একটি দেশ থেকে পালিয়ে আসার কারণে সুইডেনে শরণার্থী মর্যাদা পেয়ে থাকেন, সেক্ষত্রে তিনি আবার নিজ দেশে ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা পুরোপুরি বিব্রতকর৷ এর ফলে তাদের এখনও সুরক্ষার প্রয়োজন আছে কি-না অথবা তারা প্রাথমিকভাবে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়৷’
সুইডেনে থাকা শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ছুটি কাটানো নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার৷
সুইডিশ একটি সংস্থার ২০২২ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, সুইডেনে থাকা ৭৯ শতাংশ শরণার্থী বলেছেন তারা ছুটি কাটাতে নিজ দেশে গেছেন৷
জোহান ফরসেল বলেন, ভ্রমণ ও সুরক্ষা আবেদন নিয়ে যে অপব্যবহার আছে সেটি নিয়ে কথা বলার সাহস আমি রাখি৷ কিন্তু এটি কতটা ব্যাপক সেটি এখনই বলা মুশকিল৷ আশাকরি আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব৷
এই উদ্যোগের ফলাফল আগামী গ্রীষ্মে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসনমন্ত্রী৷
এছাড়া সুইডেনে অভিবাসীদের রেসিডেন্স পারমিট প্রত্যাহার করার সময়সীমার সম্ভাব্য সংশোধন, বাসস্থান এবং ভ্রমণ আইন সামঞ্জস্য করার বিষয়ে চলমান আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেছেন ফোরসেল৷
এই সিদ্ধান্তটি সুইডেনের মধ্য-ডানপন্থি জোট সরকারের বৃহত্তর প্রচেষ্টার ফল৷ জোট সরকারের অংশীদার অতি ডান দল সুইডিশ ডেমোক্র্যাটস (ইসিআর) শুরু থেকেই দেশটির অভিবাসন নীতিকে কঠোর করার জন্য দাবি করে আসছিল৷
চলতি বছর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অধিকার সংস্থাগুলো সুইডেনের অভিবাসন নীতি এবং ইইউ-এর মাইগ্রেশন এবং অ্যাসাইলাম প্যাক্ট সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
তারা স্টকহোমকে আশ্রয় পদ্ধতির বিধান বজায় রাখা এবং মানবাধিকারকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে৷ এছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষতি করতে পারে এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানানো হয়েছে৷
Sharing is caring!