লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রতিটি মানুষের শারীরিক সুস্থতা পৃথিবীতে মহান আল্লাহ তায়ালার দেওয়া সবচেয়ে বড় একটি নেয়ামত। আর এই শারীরিক সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে মানসিক সুস্থতার ওপর। কেননা, স্বাস্থ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশই মানসিক স্বাস্থ্য।
এছাড়া শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবে রোগ মুক্ত থেকে জীবন উপভোগ করতে হয়। তাই শারিরীকভাবে সুস্থ থাকতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আগে দরকার। মানসিক চাপে থাকলে ব্যক্তির হজমেরও সমস্যা হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যে ব্যক্তি প্রায় সময় হজমের সমস্যা ভোগেন বা পেটের নানান সমস্যা হয়, তারা কিন্তু মানসিক সমস্যার শিকার হন। সেই কারণে তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে।
কী বলছে বিশেষজ্ঞরা
হার্ভার্ড বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র, মস্তিষ্ক একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই যদি কখনও দেখেন, আপনার প্রচন্ড পেটে ব্যথা হচ্ছে কিংবা বমি হচ্ছে, তাহলে এই সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করবেন না। যদি দেখেন এই সমস্যাগুলো ওষুধ খাওয়ার পরেও কোনোভাবে কমছে না, তাহলে বুঝবেন আপনার মানসিক চাপ রয়েছে। আপনি অহেতুক কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন, যে কারণেই আপনার হজম ভালো হচ্ছে না।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগেন, তাদের প্রায় সময়েই হজমের সমস্যা হয়। এতে আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যা হতে পারে। তাই আগেই সতর্ক হোন আপনি।
হরমোনের পরিবর্তন
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনি প্রায় সময় চিন্তা করেন ও আপনার স্ট্রেস থাকে তাহলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে। যা আপনার পরিপাক তন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে পেট ফেঁপে থাকে, অ্যাসিডিটি হতে পারে, পেট ফোলাভাব থাকবে, জ্বালা ভাবতে থাকবে ।
২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, জিআরডিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ সবথেকে বেশি। যার কারণে তাদের প্রায় সময় বুকে ব্যথা হত। এগুলোর কারণেই কিন্তু পরবর্তীকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি বাড়তে থাকে।
হার্ট অ্যাটাক
মানসিক চাপ বেশি থাকলে আপনার শরীরে শুধু যে হজমের সমস্যা হবে, তা কিন্তু নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে মাত্রা বাড়তে থাকবে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
Sharing is caring!