প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ বলেছেন, “স্বৈরাচারের পতন করিয়েই চলবে না। সর্বক্ষেত্র থেকে তাদের দোসরদের অপসারণ করতে হবে। বিনাভোটে যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের গাড়ি-বাড়িসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন, তা প্রত্যাহার করতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ যেসকল প্রতিষ্ঠানে ভোট ছাড়া জনপ্রতিনিধির চেয়ার আকড়ে আছেন, তাদেরকে অভিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সর্বপোরী ফ্যাসিবাদের সকল দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যাকারী খুনিদের বিচারের দাবিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার শহীদদের স্মরনে একটি স্মৃতিস্তম্ব এবং শহীদদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরনের দাবী জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনেকেই অপকর্ম করার চেষ্টা করেছেন। কেউ যদি এমন কাণ্ডে লিপ্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারেন নি। বিনাভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কারনে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় কোন উন্নয়নের ছুয়া লাগে নি। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এই দুই উপজেলা আজও অবহেলিত। বিএনপি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই বঞ্চনার অবসান হবে ইনশাআল্লাহ।”
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মুশফিকুর রহমান মুহির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাসান এমাদ, সাবেক সভাপতি ছানির আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ আহমদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মামুন আহমদ রিপন, সুফিয়ান আহমদ খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, নাসির আহমদ আবেদ, আতাউর রহমান আতা, এম এ কাদির, লুৎফুর রহমান শাহ আলম,সুমন আহমদ, ছালিক আহমদ, ছাদ আহমদ, রিজু আহমদ, শিমুল আহমদ, আলাল আহমদ, রুফিয়ান আহমদ, নাসির আহমদ আবেদ, ফয়ছল আহমদ, মিজান আহমদ, সানাই আহমদ, জামিল আহমদ, রাছিক আহমদ, খালেদ আহমদ, সিদ্দিক আহমদ, মোশারফ আহমদ, রনি আহমদ, দুলব আহমদ, লিমন আহমদ, সবুজ আহমদ, মুরাদ আহমদ, ফয়ছল আহমদ, নাঈম আহমদ প্রমূখ।
Sharing is caring!