এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া সম্পদ উত্তারাধীকারীগন ভোগ ও ব্যবহার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাহাদের রেখে যাওয়া সম্পদ যেমনি ভোগ ও ব্যবহার করিবেন উত্তারাধীকারীগন তেমনি তাহাদের দুর্নাম, সুনাম, কুনাম, বদনাম ইত্যাদির অংশিদার ও বটে। পূর্ব পুরুষদের কেহ সৈয়দ, চৌধুরী, তালুকদার, খান বাহাদুর, রায় বাহাদুর, কৃষান ইত্যাদি উপাধীধারি থাকিলে তাহাদের পরবর্তী বংশধররা সেই সব উপাধী নামের সাথে সংযুক্ত করে গর্ববোধ করেন। দাগ খতিয়ান মিল থাকুক আর না থাকুক সেই সব উপাধীধারিদের গোত্রভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেই নিজেকে সম্মানীত মনে করে থাকুন। গোত্রভুক্ত হওয়ার সংজ্ঞা এক বিন্দু রক্ত থেকে লাক্কড় দাদা, পৈ দাদা, দাদা, পিতা ইত্যাদির ধারাবাহিকতায় গোত্রের সৃষ্টি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভালোবংশের সম্প্রদায়ভুক্ত হয়ে ঐ গোত্রের শির্ষ নেতাকে নিজের পূর্ব পুরুষ বলিয়া নিজেকে সম্মানীত বোধ করেন। অথচ তাহার রক্ত সম্পর্কীয় বাপ-দাদার রক্তের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে জারজ সন্তানের উপাধী সৈয়দ, চৌধুরী, তালুকদার হয়ে আনন্দ উপভোগ করতে চায়। অথচ সে কিন্তু জারজ সন্তান। মূলগোত্রের কাহার সাথে কোন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলেই খ্যাতি পায় বাউটা। মৌলানা, মৌলভী, প্রফেসর বা শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, চেয়ারম্যান, মেম্বার, এম.পি. মন্ত্রী ইত্যাদি পদ-পদবী যেমনি সম্মানীত তেমনি এসব উপাধীধারি ব্যক্তিগনের উত্তারাধীকারিগন গর্ববোধ করতেই পারেন। এসব উপাধীধারি ব্যক্তিগন কর্মক্ষেত্রে যদি চুরি, পুকুর চুরি, ডাকাতি, দুর্নিতি-সুনীতি, সুদখোর-ঘোষখোর টাউট-বাটপার, ধাপ্পাবাজ, চরিত্রহীন, ব্যাংক ডাকাতি, মাদক, হিরোইন স¤্রাট-স¤্রাজ্ঞী, নারী ব্যভিচার, ভ‚মি খেকো, চাঁদাবাজ ইত্যাদি অপকর্মের অধিকারী হয়ে থাকেন, তাহলে তাহাদের উত্তারাধীকারিগন সমানভাবে এসব সম্মানের অধিকারী। সাধারন জনগন যেহেতু মন্ত্রী এম.পি, চেয়ারম্যান, মেম্বার ইত্যাদি গুনাবলী পূর্বপুরুষদের মধ্যে থাকার কারনে যেমনি সমীহ ও শ্রদ্ধা করিতেন ঠিক অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উত্তারাধীকারীগনকে দেখলেই চোর, ডাকাত, বাটপার, ধাপ্পাবাজ, চরিত্রহীন, ব্যাংক ডাকাতি, মাদক, হিরোইন স¤্রাট-স¤্রাজ্ঞী, নারী ব্যভিচার, ভ‚মি খেকো, চাঁদাবাজ ইত্যাদির প্রেতাত্মা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ডাকা বাঞ্চনীয়। উদাহরন হিসাবে আমার ৫৪ বৎসরের ইতিহাসে বিশে^র মানচিত্রে প্রশাসন কর্তৃক মনোনীত ৩৫০ জন এম.পি, মন্ত্রী, ও তাহাদের সমর্থকদের নানা অপকর্মের কারনে পলাতক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তা ও আবার আবাবিলদের দ্বারা গন বিপ্লবের মাধ্যমে। আবাবিলদের হাতে যাহার ধৃত হয়েছেন তাহাদেরকে দিগম্বর বা গনপিটুনি খেতে হচ্ছে। এসব প্রাপ্তি কি তাহাদের চেলা চামুন্ডা বা প্রেতাত্মাদের দায়ভার নিতেই হবে। তাহারা মন্ত্রী এম.পি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, চোর, ডাকাত, বাটপার, ধাপ্পাবাজ, চরিত্রহীন, ব্যাংক ডাকাত, মাদক, হিরোইন স¤্রাট-স¤্রাজ্ঞী, নারী ব্যভিচার, ভ‚মি খেকো, চাঁদাবাজ ইত্যাদি অর্জনকারীদের নিকট আত্মীয়দের প্রেতাত্মা। সাধারন জনগন এসব প্রেতাত্মা আত্মীয় সজনদের বিভিন্ন ভাবে কটুক্তি করতেই পারে।
লেখক: সভাপতি, সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিয়ানীবাজার, সিলেট। মোবাইল: ০১৮১৯-১৭৬২১৭
Sharing is caring!