বিনোদন ডেস্ক:
বাবার সাথে কাঁচের দোকানে কাজ করেন ছেলে ভিনসেন্ট। খুব সুন্দরভাবেই যাচ্ছিলো বাবা-ছেলের দিনগুলো। হঠাৎ তাদের ছোট্ট শহর যুদ্ধে আক্রান্ত হয়। শহরকে রক্ষা করার জন্য আসে সেনাবাহিনী এবং এর দায়িত্ব দেওয়া হয় কর্ণেল টনি জাওয়ার্দকে। তার সাথে সেখানে আসে তার সুন্দরী মেয়ে এলিজ। খুব চৎকার বেহুলা বাজাতেন এলিজ। তা দেখে মুগ্ধ হন ভিনসেন্ট। একটা সময় তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তা গড়ায় ভালোবাসায়। তবে সমাজ তাদের ভালোবাসাকে অস্বীকৃতি জানাতে থাকে- এভাবেই এগোতে থাকে অস্কাররে দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের প্রথম হাতে আঁকা অ্যানিমেটেড ফিচার ফিল্ম ‘দ গ্লাসওয়ার্কার’-এর কাহিনী।
প্রায় ১৪০০ কাট এবং আড়াই হাজার ড্রয়িংয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন উসমান রিয়াজ। এটি নির্মাণ করতে লেগেছে ১০ বছর। নিপুণ চিত্রাঙ্কণে ভালোবাসা গল্প তুলে ধরায় মুক্তির পর থেকেই বেশ সাড়া জাগিয়েছে সিনেমাটি। নিজের সিনেমাকে অস্কারের মতো এতো বড় আসরে তুমুল প্রতিযোগিতা করতে দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতাও।
‘এটি পাকিস্তানি অ্যানিমেশন সিনেমাকে বশ্বিমঞ্চে নিয়ে গেছে এবং আমরা খুবই রোমাঞ্চিত’- লন্ডনে জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন উসমান রিয়াজ।
কম্পিউটার দ্বারা তৈরি অ্যানিমেশন মুভির চেয়ে এর নির্মাণ শৈলী ভিন্ন এবং এটি নির্মাণেও অনেক সময় লাগে। এ সম্পর্কে রিয়াজ বলেন, ‘২০১৪ সালে ২৩ বছর বয়সে এটি আমি শুরু করি। আমরা লোকদের ৬ বছর ধরে ট্রেনিং দিই। পাকিস্তান আগে কখনোই এমন ধরনে সিনেমা তৈরি করেনি। সেই সময় হাতে এঁকে অ্যানিমেটেড সিনেমা বানানোর কোনো ধারণা ছিল না। এই ধরনরে সিনেমা প্রচুর সময় নেয়, কারণ এটা হাতে আঁকার সাথে সম্পর্কিত।’
তিনি জানান, ছোট বেলা থেকেই অঙ্কনের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল তার। আর সেই জায়গা থেকেই দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণ করেন ‘দ্য গ্লাসওয়ার্কার’।
গত জুলাই মাসে পাকিস্তানে মুক্তি পায় সিনেমাটি। পরবর্তীতে ইংরেজি, স্প্যানিশ, ইউক্রনেীয়সহ বহু ভাষায় এর ডাবিং ভার্সন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com