বিনোদন ডেস্ক:
এই মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত নাম রোজা আহমেদ। জনপ্রিয় এ মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে সংগীত শিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে বিয়ের খবর চাউর হতেই তুমুল চর্চার শুরু।
রোজা পেশায় একজন মেকওভার আর্টিস্ট। তবে শুধু সৌন্দর্য সচেতন-ই নন তিনি। তার ভাবনায় রয়েছে দেশও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও ছিলেন সরব।
ফেসবুকে ‘রোজা ব্রাইডাল মেকওভার’ নামে একটি পেজ আছে রোজার। সেখানে নিজের কাজের ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী চলাকালীন ১৭ জুলাই রোজার পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘আন্দোলন আমাদের রক্তে। রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের ইতিহাস তো বহু বছরের। তারপরও মনে হয়, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও কেন রক্ত দিয়ে দাবি আদায় করতে হবে?’
এরপর লেখা হয়েছিল, ‘আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান সহজেই করা যায় সেখানে রক্ত না হলে আমাদের চলে না। একটা দেশের সিংহভাগ যখন তরুণ তখন তাদের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে তাদের কথা না শুনে উত্তেজিত মন্তব্য না করলেই কি না? তাহলে তাদের আর অগ্রজদের মধ্যে পার্থক্য কি থাকল?’
আরও বলা হয়েছিল, ‘নারীদের জন্য কোটা, আদিবাসীদের জন্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, প্রতিবন্ধী কিংবা ভিন্ন লিঙ্গের জন্য কোটা থাকবে, কিন্তু ছাত্রদের সঙ্গে বসে তাদের দাবি শুনতে তো কোনো বাধা নেই।’
পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘আমি বিশ্বাস করি কোনো ছাত্রই স্বতস্ফূর্তভাবে নিজেকে রাজাকার দাবি করছে না । কোন পর্যায়ে গেলে একজন তরুণ নিজেকে রাজাকার বলে দাবি করছে তা একবার বোঝার চেষ্টা করি । তাদের তিরষ্কার না করে তাদের বোঝার চেষ্টা করি, সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হই।’
সবশেষে ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘‘স্বাধীন দেশে লাঠিপেটা, গুলি, রক্ত কখনও সমাধান হতে পারে না । ভুলে যাবেন না এদেশের ছাত্ররা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রক্ত দিতে কখনও কার্পণ্য করে নাই। আর সব থেকে দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ‘আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার’ মতো জঘন্য কাজ করছেন।’’
রোজার যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে ছাত্রী থাকাকালীন বরিশাল থেকে। অল্পদিনেই দেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন। তার ভিডিওগুলো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। মেকওভারের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা রয়েছে তার।
রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। সামাজিক মাধ্যমে তার অনুসারী প্রায় এক মিলিয়ন।
Sharing is caring!