স্টাফ রিপোর্টার:
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান ও তার স্ত্রী রওনক রহমান এবং গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী রুহুল আরা রহিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিন দুদকের উপ-পরিচালক সাইফুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
হাচানুর রহমানের নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শওকত হাচানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
তিনি ও তার স্ত্রী রওনক রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই তাদের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
অন্যদিকে আবুল কালাম আজাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
আবুল কালাম আজাদ গোবিন্দগঞ্জে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার জমি, ছয়তলা বাড়িসহ ছয়টি ফ্ল্যাট, বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় দুটি বাড়ি, ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাড়ি, গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ ২০টির মতো বাস ও ট্রাক কিনেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
তিনি ও তার স্ত্রী মোছা. রুহুল আরা রহিম অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
এদিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
Sharing is caring!