কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় কথিত প্রেমিক মেহেদী হাসান রিংকুর বিয়ের আশ্বাস পেয়ে স্বামীকে তালাক দেন দুই সন্তানের মা (২৪)। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর একপর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর কথিত প্রেমিক সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহে রিংকুর বাড়িতে অনশন করছেন তিনি।
এদিকে কথিত প্রেমিকা আসার বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন মেহেদী হাসান রিংকু। অন্যদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী। বিয়ে না হলে প্রেমিকের বাড়িতে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ওই নারী।
জানা গেছে, বছরখানেক আগে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মেহেদী হাসান রিংকুর। এরপর থেকে দুজনের সম্পর্ক গভীর হয়। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তাঁরা। বিয়ের আশ্বাস দিলে আগের স্বামীকে তালাক দেন ওই নারী। একসময় বিয়ের জন্য রিংকুকে চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে বন্ধ করে দেন সব ধরনের যোগাযোগ। ওই নারী রিংকুর খোঁজে ছুটে যান তাঁর বাড়িতে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। তবে কোনো আশ্বাস মিলছে না।
ওই নারী বলেন, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিংকু আমার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। তাঁর বিয়ের আশ্বাস পেয়ে স্বামী, সন্তান, বাবা-মা ছেড়ে চলে এসেছি। এখন বিয়ে না করলে মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রিংকু আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
Sharing is caring!