স্টাফ রিপোর্টার:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুম, খুন ও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত র্যাব বাহিনী ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। র্যাবের নতুন মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান স্বীকার করেছেন, র্যাবের অভ্যন্তরে আয়নাঘর (গোপন নির্যাতন কক্ষ) রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় র্যাবের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো গুম-খুন সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। র্যাব এসব তদন্তে সহযোগিতা করছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার ছাড়া র্যাবের দায়মুক্তি সম্ভব নয়। তবে র্যাবের কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
লিখিত বক্তব্যে র্যাবের প্রধান বলেন, বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জন র্যাব সদস্যকে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার অভিযোগে ৩০ জন র্যাব সদস্যকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
র্যাব বিলুপ্তির দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘একটি বড় রাজনৈতিক দল র্যাব বিলুপ্তির দাবি তুলেছে। সরকার যদি মনে করে র্যাব বিলুপ্ত করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেই আদেশ মান্য করব।’
র্যাবের কালো পোশাক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পোশাক পরিবর্তনে কিছু যায় আসে না। মানুষ ভালো হলে সে যে পোশাকেই থাকুক না কেন, ভালো কাজই করবে।’
Sharing is caring!