প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ণ
আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

 

আবারও এদেশের এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার হৃংকার দিলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি আদালত চত্ত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ হংকার দেন। পরে তাকে লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

 

শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এসব মামলা আমার জন্য কোনো ঘটনাই না।’

 

এদিন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের (কাঁঠালিয়া) আদালতে সাবেক এ এমপিকে হাজির করা হয়। পরে বিচারক আফরোজা বিনতে শহীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

পরে আদালত থেকে নামার সময় শাহজাহান ওমরকে লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় দ্রুত আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ তাকে কারাগারে নিয়ে যায়।

 

 

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন শাহজাহান ওমর

 

এর আগে বুধবার রাতে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহর বাদী হয়ে শাহজাহান ওমরসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা সদরের গোডাউনঘাট এলাকায় শাহজাহান ওমরের বাসভবন মেহজাবিনে হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসভবনের গ্লাস ভেঙে যায়।

এ খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালের বাসা থেকে শাহজাহান ওমর তার গাড়ি নিয়ে রাজাপুরের বাসার উদ্দেশে রওনা করেন। বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পিংড়ি এলাকায় পৌঁছালে তার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় রাজাপুর থানায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দিতে গেলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বাইরে থেকে থানা ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখান পুলিশ।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শাহজাহান ওমর বিএনপি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে। মীর জাফর শাহজাহান ওমরের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা দাবি করছি।

রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Sharing is caring!