প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

বাসায় ঢুকে চাঁদা দাবি, না পেয়ে ধর্ষণচেষ্টা

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ণ
বাসায় ঢুকে চাঁদা দাবি, না পেয়ে ধর্ষণচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের বাসায় ঢুকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, চাকু, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্টাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৭ মার্চ) আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- নগরের শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাজ্জাদুর রহমান (২৫), একই এলাকার হাসানুর রহমান রাব্বি (২৫), ভাড়ালিপাড়া এলাকার রাকিব হাসান (২৮) ও নগরের বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়া এলাকার সানি রহমান (৩০)।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গোপালগঞ্জের এক ব্যক্তি বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। রোববার বিকেলে তার বান্ধবী জরুরি প্রয়োজনে এ বাসায় তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ পর এ চারজন দেশীয় অস্ত্রসহ জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করেন।

তিনি আরও বলেন, তারা দুজনের তাদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করেন এবং বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও অভিযুক্তরা ওই ফ্রিল্যান্সারের বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।

আরএমপি মুখপাত্র বলেন, অভিযুক্তরা ওই তরুণীকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেন এবং রাজি না হওয়ায় মারধর করেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। ওই ফ্রিল্যান্সার কৌশলে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে নগরের শাহমখদুম থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Sharing is caring!