
স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহমেদ কয়েকজন ব্যবসায়ীর পাওনা টাকা পরিশোধ করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মোজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েকজনের টাকা পরিশোধ করছেন ওসি ফরিদ আহমেদ। বাকিদের টাকাও দ্রুতই পরিশোধ করবেন তিনি।
নান্দাইল পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের প্রাইম কালেকশনের মালিক মো. মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু বলেন, আমার দোকান থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের জন্য পোশাক নিয়েছেন ওসি ফরিদ। তাছাড়া গত শীতের শুরুতে নিয়েছেন তিনটি কাশ্মীরি শাল। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ওসি ফরিদ আহমেদ ফোন করে ডেকে নিয়ে আমার এক লাখ চার হাজার ২৫০ টাকা পরিশোধ করেছেন। সুবর্ণ ইলেকট্রনিক্সের মালিক ফরহাদ বলেন, আমি ওসির কাছে ১১ হাজার টাকা পেতাম। তিনি আমার টাকা দিয়েছেন।
নান্দাইল মডেল থানার সাবেক ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, ভেবেছিলাম পরে এক সময় এসে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে যাব। কিন্তু এখন সবার পাওনা টাকা পরিশোধ করেছি।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। সম্প্রতি চুরি-ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না তিনি।
অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার চিঠি পেয়ে পরদিন শুক্রবার ভোরে নান্দাইল থানা ত্যাগ করেন ওসি ফরিদ আহমেদ। তার কর্মস্থল ত্যাগের খবর পেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
Sharing is caring!