ছিনতাইয়ের পর ট্রাক থেকে চিনি ভাগবাটোয়ারা করছেন চেক শার্ট পরিহিত জাহিদুল হত তাহমিদ-ফাইল ছবি/
স্টাফ রিপোর্টার:
আন্ত:জেলা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিয়ানীবাজার উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদ (৩৪)-কে খুঁজছে আইনশৃংখলা বাহিনী। ভয়ঙ্কর এই অস্ত্রবাজকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বেশ তৎপরতা চলছে। পৌরশহরের নিদনপুর গ্রামের এই ক্যাডার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার আগেই অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ৭টি মামলার আসামী হয়ে সে এখন আত্মগোপনে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ সক্রিয় এই ক্যাডার সরকার বিরোধী নানা অপ্রপচার ছড়িয়ে জনগণ ও প্রশাসনকে বিব্রত করছে।
জাহিদুল হক তাহমিদ সর্বশেষ আলোচনায় আসে চিনি ছিনতাইকান্ডে। প্রকাশ্যে দিনদুপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে চিনিভর্তি ট্রাক ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দেয় সে। এরপর চিনি ভাগ-বাটোয়ারা থেকে শুরু করে ছিনতাই ঘটনার সবতথ্য ভাইরাল হলে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে তাহমিদ। ছাত্রলীগকে কলুষিত করার দায়ে তৎকালীন সময়ে উপজেলা ও পৌর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠনের নেতা হওয়ায় তাকে রিমান্ডে আনা সম্ভব হয়নি। ছিনতাইকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করতে আইনশৃংখলা বাহিনী।
জেল থেকে বেরিয়ে আরোও বেপরোয়া হয়ে ওঠে তাহমিদ। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে মুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধর করে। ওই নির্বাচনের ২-৩দিন পর পৌর আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নানকে মারধর করে চিরতরে পঙ্গু করার নেতৃত্ব দেয় সে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার আগে সে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এসব বিষয়ে জানতে জাহিদুল হক তাহমিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বখাটে তাহমিদের নেতৃত্বে কমিটি মানেনি তৎকালীন ছাতলীগের বৃহৎ একটি অংশ। মূলত: তার অপকর্মের কারণে বিলুপ্ত করা হয় ওই কমিটি। সে টাকা দিয়ে কিনে সে ওই পদ লাভ করে। ছিনতাই হওয়া চিনির মালিক বদরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পুর্ব পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হুমকি অব্যাহত রাখে ছিনতাইকান্ডের প্রধান হোতা তাহমিদ।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফ উজ্জামান জানান, চিহ্নিত সকল অপরাধীকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
Sharing is caring!