স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি ও মজলুম আলেম মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অথচ অতীতে কেউ কেউ রাষ্ট্র এবং ধর্মকে বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতায় লিপ্ত ছিল। তারা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের দোহাই দিয়ে ইসলাম প্রিয় মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র মানুষের উপকারে না আসলে তা বাতিল করে দেয়ার কথা ইসলামে বলা হয়েছে। মুসলমান হয়ে অনেকে ইসলামের বিরুদ্ধে য্দ্ধু ঘোষণা করে। এর কারণ হচ্ছে মুর্খতা। মহান আল্লাহতা’য়ালা বলেছেন, কোন মুসলামানকে যদি আমি শাসনের ক্ষমতা দেই তবে সে সালাত আদায়, যাকাত প্রদান, সৎ কাজের নির্দেশনা এবং অন্যায়-অশ্লীল-শরিয়ত বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড আমরা ধরিয়ে দেই। এজন্য অনেকের শত্রæতে পরিণত হন আলেম-ওলামারা। ইসলাম মানতে হলে পুরোটাই মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিছু মানবে আর কিছু মানবেনা, তা হবেনা। তিনি রোববার দুপুরে বিয়ানীবাজার উপজেলার কালিবাড়ি বাজার মাঠে লাউতা-মুল্লাপুর খাদিমুল কোরআন আয়োজিত তাফসির মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের ফোঁড়ার জায়গায় আমি হাত দেই। এজন্য ধর্ম নিরপেক্ষতার দোহাই দেয়ারা আমাকে শত্রæ ভাবে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা না থাকায় দেশের টাকা পাচার হয়েছে। যাকাতের কার্যক্রর ব্যবস্থা না থাকায় দেশের গরীব মানুষ কষ্টে আছে।
তিনি বলেন, মুসলমানদের দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা কায়েম করতে দেয়া হবেনা। কোরআন-ইসলামের আলোকে মুসলমানদের রাষ্ট্র ইসলামী আইন অনুযায়ী চলবে। অন্যের ধর্মের লোকজন নিরাপদ থাকবে, নিজ নিজ ধর্ম নিজের মত করে পালন করবে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান, হেফাজতে ইসলামীর স্থানীয় সভাপতি মুফতি আব্দুল ক্বারীম হাক্কানী, দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আতিকুর রহমান প্রমুখ।
Sharing is caring!