প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারের পল্লীতে আ’লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষক, ক্ষোভ

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১, ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে আ’লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষক, ক্ষোভ

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজার উপজেলার নিভৃত পল্লীতে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যক্রমে সরকারি সুবিধাভোগী একাধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের এমন রাজনৈতিক সক্রিয়তার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে। সম্প্রতি ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দলীয় একাধিক অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি ও বক্তব্য দেয়ার ছবি-ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা শুনতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত তাদের বরখাস্তের দাবী জানিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের চারাবই গ্রামে আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গত ১৬ই ডিসেম্বর প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী মইন উদ্দিন এবং একই এলাকার আল মদিনা আইডিয়াল একাডেমির শিক্ষক আব্দুল হাকিম। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীরা আত্নগোপনে থাকলেও প্রকাশ্যে সরকারি সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি স্থানীয়রা।

জানা যায়, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী মইন উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। এদিকে আব্দুল হাকিম আল মদিনা একাডেমির শিক্ষকতার পাশাপাশি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মইন উদ্দিন সভায় বলছেন- আওয়ামীলীগ’কে আমরা হারাতে দিতে পারিনা। আওয়ামীলীগের জন্য প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দেবো, জয় বাংলা। একই অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক আব্দুল হাকিম ৷

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আখতার হোসেন খান জাহেদ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া এবং কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা এটি নিজের কর্তব্য পালনের সাথে সাংঘর্ষিক। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি দাবী করেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলদূর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব আছেন সুতরাং তিনি বিষয়টি দেখবেন।

Sharing is caring!