স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারে মাদক বিক্রি-সেবনসহ উশৃংখলতার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীর রোষানলে পড়েছেন এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ী। তাদের হামলায় তিনি এখন পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর দিনযাপন করছেন। অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলাফেরা করতে হয় বলেও জানান তিনি। বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবে সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ উত্তাপন করেন। রুহেল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ী উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার একটি চিহ্নিত অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, মাদক ব্যবসা ও সেবনের বিস্তার রোধে তিনি জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছেন। এতে ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের হাছন আলী হাছইর ছেলে আব্দুস শুকুর (৪২), খালেদ আহমদ (৩৫), বাদল আহমদ (৪৪), ফরহাদ হোসেন (৩৩) ও ফয়ছল আহমদ (৩১), সুরমান আলীর ছেলে আবুল কালাম বাবলু (৪৩) ও হামিদুল হক (৫২), মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে তানভির আহমদ (৩০) ও মাহিন আহমদ (২৭), ছফর উদ্দিন কটইর ছেলে আব্দুল গণি (৩২), তানিম আহমদ (২৩) ও আবু তাহের (২১), হামিদুল হকের ছেলে হানিফ আহমদ (২৩), মৃত সুরমান আলীর ছেলে আবু হোসেন (৩৯), বাদল হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন (২০), মৃত নামর আলীর ছেলে বিলকুছ উদ্দিন (৪৯), নামীয় ব্যক্তিগণ তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ অক্টোবর সকালে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পৌরশহরের ব্যবসা প্রতিষ্টানে আসার পথে তার উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে হামলা করে। সেই হামলার পর থেকে এখনো তিনি হাঁটাচলা করতে পারেননা। গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার তারা তার গাড়ি চালক মাসুম আহমদকেও ব্যাপক মারধর করে। এরপরও তারা ক্ষান্ত না হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাদের মাদক ব্যবসা ও সেবনসহ অন্যান্য অপরাধ কর্মকান্ডের ছবি ও প্রমাণাদি প্রদর্শন করে নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান, গৌছ উদ্দিন, সারং আলী, মইয়ন উদ্দিন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!