প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে মামলা থেকে বাঁচতে ইউপি সদস্যের প্রতারণা: থানায় জিডি

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে মামলা থেকে বাঁচতে ইউপি সদস্যের প্রতারণা: থানায় জিডি

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জের ধরে দায়ের হওয়া মামলা থেকে বাচঁতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন এক ইউপি সদস্য (মেম্বার)। নিয়াজ উদ্দিন (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বলে জানা গেছে। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. আহমদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেনের স্বাক্ষর ও প্যাড জাল করে মামলা থেকে অব্যাহতি সংক্রান্ত সুপারিশপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ১৪১৯) করেছেন। এতে আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারাও একই মামলার পলাতক আসামী।

জানা যায়, বিয়ানীবাজারের দুবাগে সম্প্রতি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি মনোনীত হন মেম্বার নিয়াজ উদ্দিন। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার পতন পরবর্তী একটি মামলার (নং ০১, তাং ০১-১০-২০২৪ইং, জি.আর: ১০৭/২০২৪) এজাহার নামীয় আসামী। এছাড়াও কমিটি ঘোষণার পর তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠলে জেলা শ্রমিক দলের নির্দেশে ওই কমিটি স্থগিত করা হয়। এরপর নিয়াজ উদ্দিন তার সহযোগীদের নিয়ে বর্ণিত মামলায় অব্যাহিত প্রদানের জন্য বিয়ানীবাজার বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সই-স্বাক্ষর সম্বলিত একটি সুপারিশপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। তবে ওই সুপারিশপত্র সম্পর্কে অবগত নয় উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়রী করেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন।

 

এদিকে নিয়াজ উদ্দিন জানান, তিনি ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। বিএনপির রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত বলেও দাবী করেন।

 

উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও অনেক সময় নিয়াজ মেম্বারকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবস পালন করতে হয়েছে। তবে সম্প্রতি গঠিত ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

 

বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, মিথ্যা-প্রতারণামুলক কর্মকান্ডের কারণে নিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। তিনি বিএনপির কোন পদে আছেন বলে তার জানা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, গত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে আঁতাত করে নিয়াজ মেম্বার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হয়রানী-নির্যাতন করেছেন। সরকার পতন পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে একই এলাকার নাজমুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে তাজিম চৌধুরী বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার পলাতক আসামী হওয়ার পরও তাকে কিভাবে শ্রমিক দলের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

Sharing is caring!