প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ পোশাক: বিয়ানীবাজারে চড়া দামে ক্রেতার অস্বস্থি

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ণ
ঈদ পোশাক: বিয়ানীবাজারে চড়া দামে ক্রেতার অস্বস্থি

 

স্টাফ রিপোর্টার:

ঈদের কেনাকাটায় পছন্দের কাপড় পরিবর্তন নিয়ে গত ২ দিন থেকে বিয়ানীবাজারে তুলকালাম কান্ড ঘটে। যদিও শেষ পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ভূল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। তবে ঈদের কেনাকাটায় কাপড়ের মূল্য এবং কিছু বিক্রেতার অসহিষ্ঞু আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ক্রেতারা। এসব বিষয় নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। কাপড়ের মান নিয়েও খোলামেলা প্রশ্ন করছেন কেউ-কেউ।

 

বিয়ানীবাজার পৌরশহরে পনেরো রমজানের পর থেকে বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাসমাগম বাড়তে শুরু করে। তবে গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। চড়া দামে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। বিশেষ করে যাঁদের আয় নির্ধারিত ও সীমিত। ছোট বাজেটে ঈদের কেনাকাটার তালিকায় কাঁচি চালাতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা তানভীর হোসেন বলেন, ‘গতবারের ২ হাজারের ড্রেস এবার সাড়ে ৩ হাজারেও পাচ্ছি না। যা যা কিনব ভেবেছিলাম, সেখান থেকে কমাতে হচ্ছে।’

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিপনী বিতাণ, শপিংমল ও দোকানে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দেদার কেনাকাটা। অনেক প্রতিষ্টানে পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতা প্রবেশের পর দোকানে বসার জায়গাও মিলছেনা।

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে স্থানীয় অর্থনীতি বেশ চাঙা হয়ে উঠছে। রমজানের শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ যে অর্থ ব্যয় করছেন, তার ৮০ শতাংশই যাচ্ছে পোশাকের জন্য। ক্রেতারা জানান, ঈদের কেনাকাটায় মূল ব্যয় হয় পোশাকের জন্য। নতুন পোশাকের পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর পণ্য এবং আসবাবপত্রও কেনেন কেউ কেউ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজারে মূল বিক্রি হয় নতুন পোশাক। পাশাপাশি জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর জিনিস এবং কিছু আসবাবপত্রও বিক্রি হয়। তবে ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতারা যে অর্থ ব্যয় করেন তার ৮০ শতাংশই যায় পোশাকের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ অন্য পণ্যে ব্যয় হয়।

 

 

 

 

পোশাকের বাড়তি দামের বিষয়ে বিয়ানীবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক শামীম বলেন, এ বছর কাপড়ের আমদানি কর অনেক বেশি হওয়ায় দাম বাড়াতে হয়েছে। তাই গতবারের চেয়ে চলতি বছর পোশাকের দাম বেশি।

Sharing is caring!