স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। গেল বছর সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮ বাংলাদেশী। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি ভারতের বিএসএফের গুলিতে নয়, খাসিয়াদের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে এসব হত্যাকাণ্ড। আর সচেতন মহল বলছেন, সীমান্তে কোন ধরনের হত্যা কাম্য নয়, এটি দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি করবে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতের বিএসএফকেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সিলেট বিভাগের তিন দিকে ভারত সীমান্ত। সে হিসেবে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সাথে ভারতীয়দের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই প্রায়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাওয়া আসা করেন দুই দেশের মানুষ। গেল ২০২৪ সালে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮ বাংলাদেশী। আর নতুন বছরের প্রথম মাসেই সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে হত্যার শিকার হন এক বাংলাদেশি যুবক। তবে বিএসএফ নাকি ভারতীয় গারোরা গুলি করেছেন তা নিশ্চিত করা যায় নি।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সীমান্তের ওপারে ভারতীয় খাসিয়ারা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, যাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে কিছু বাংলাদেশি চোরাকারবারি। দুই পারের এই চোরাচালান চক্রের লোভের শিকার হচ্ছেন সীমান্তবর্তী হতদরিদ্র জনগণ। সামান্য অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে চোরাই পণ্য আনা-নেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত, চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সীমান্ত এলাকায় এসব হত্যার ঘটনা বাড়ছে।আর হত্যা হওয়া অধিকাংশ চোরাচালানের সাথে জড়িত।
মানবাধিকার কর্মী লক্ষ্মীকান্ত সিংহ জানান, সিলেট সীমান্তে হঠাৎ করে হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগজনক। সীমান্তবর্তী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দিলে এটি বন্ধ হবে না। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে আমরা প্রায়ই বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক হতে দেখি। কিন্তু এ সুফল দেখা যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তাদের প্রতিশ্রুতি রাখছে না বলে মনে করেন তারা। সীমান্তে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বিএসএফের।
বিজিবির উপ মহাপরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিবিএম জানান, নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে সিলেট সীমান্তে হতাতের ঘটনার পেছনে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও ভারতের নাগরিকের সঙ্গে অবৈধ লেনদেন একটি বড় কারণ। এ জন্য সীমান্ত এলাকার অধিবাসীদের অবৈধভাবে দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে টহল ও জনবল।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২
ইমেইলঃ agamiprojonma@gmail.com, milad.jaynul@gmail.com