সিলেট অফিস:
সিলেট মহানগরীর এমসি কলেজ মাঠে আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ৩৬ তম তাফসির মাহফিলের শেষ দিনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
আজহারীর আগমনকে ঘিরে রোববার মাহফিলের শেষ দিনে লক্ষাধিক শ্রোতার আগমন ঘটে। তবে মাহফিলের মঞ্চে উঠে পুরো আলোচনা শেষ করতে পারেননি। সংক্ষিপ্ত দোয়ার মাধ্যমে মাহফিল শেষ করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী।
হট্টগোল কারণে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বিরক্ত হয়ে যান। শ্রোতাদের কথাবার্তা ও বিশৃঙ্খল আচরণ বন্ধ না হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী ২ ঘণ্টা বক্তব্য না রেখে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে শেষ করে মোনাজাত ধরেন তিনি।
মাহফিল শুরু হয়েছিল হজরত শাহজালাল, শাহপরান (রহ.) ও সিলেটবাসীর প্রশংসার মাধ্যমে। তবে শেষের চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাহফিল চলাকালে ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পার হওয়ার পর মঞ্চের সামনের সারি থেকে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে আজহারী বেশ কয়েকবার থামানোর চেষ্টা করেন।
ধাক্কাধাক্কি, হট্টগোল শুরু হলে তিনি বলেন, ‘ওকে আমি বিদায় নেই। তোমরা যা দেখালে। এই ধাক্কা আসে কীভাবে! কুরআনের মাহফিলে এরকম বাধা দিতো আবু জেহেলের উত্তরসূরীরা। তোমরা তো শাহজালাল, শাহপরানের উত্তরসূরী। তোমরা এরকম করছো কেন?’
অনেকটা বিরক্তির স্বরে তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিতও হতে পারে। লাখ লাখ লোক এখানে আছে।কোথাও সমস্যা হচ্ছে না শুধু একপাশে কিছু মানুষ ধাক্কাধাক্কি করছে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ মাহফিল চলে।
মাহফিলের শেষ দিকে আবারো ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোল শুরু হলে তিনি বলেন, ‘এটা কি কুরআনের মাহফিলের চিত্র হলো। এই সিলেট তোমরা তো আগের দুই প্রোগ্রামকেও ছাড়িয়ে গেলা। তাতেও কেউ হট্টগোল না থামলে শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, ‘সিলেট আজকে কি করেছো তা মানে থাকবে’ বলেই তিনি মোনাজাত পরিচালনা করে মাহফিল শেষ করেন।
এদিকে মাহফিলের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
অনেকে মাহফিলে সিলেটবাসীকে উদ্দেশ্য করে আজহারীর ‘তুমি’ সম্বোধনের বিষয়টিকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। অনেকে আবার ঘটনাটিকে সিলেটের জন্য লজ্জার বলে উল্লেখ করেছেন। অনেককে কোনো কোনো মাহফিলে আজহারীর কিছু কিছু বক্তব্যকে ‘অসংযত’ বলে অভিযোগ তুলেও সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
আজহারীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে মাহফিলের মঞ্চের ছবি প্রকাশ করা হলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
Sharing is caring!