প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু এখনো রহস্য

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু এখনো রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে হিজড়ারূপী যুবকের (স্বামী) মায়ের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে তার ছেলে ও পুত্রবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন।

নিহত রুবেল আহমদের মা মোছা. মনোয়ারা বেগম অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কোতয়ালি থানায় দায়ের অভিযোগটি দাখিল করেন তিনি।

মারা যাওয়া রুবেল আহমদ (৩০) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের আবদুল মজিদের ছেলে। সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী রাজনা বেগম (২৬) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার দনারাম গ্রামের আবদুল আলীর মেয়ে।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন, দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলীর বালুর মাঠ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (কালি হিজড়া), নাসির মিয়া, জামিলা হিজড়া, আব্দুস সামাদ রাজ, অলিউর রহমান রাসেল (লিপি হিজড়া), ইমা হিজড়া, সাগর আহমদ, সানজিদা হিজড়া, কারিশমা হিজড়া, আয়াত আলী (আদুরী হিজড়া), লিমা হিজড়া, সুপ্তা হিজড়া। তাছাড়া অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে মনোয়ারা বেগম বলেন, তার ছেলে রুবেল আহমদ (রুমেলা হিজড়া) ও তার স্ত্রী রাজনা বেগম চালিবন্দরস্থ খন্দকার ফার্ম নামীয় ঠিকানায় বসবাস করে আসছেন।তাদের একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। রুবেল আহমদ ভ্যান গাড়িতে দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। অভিযুক্তরা মাদক সেবন, লিঙ্গ কর্তন, ছিনতাই ও যৌনকার্যসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত।তারা একটি চক্র হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে এসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রায় সময় তারা রুবেলকে তাদের দলে ভেড়ার জন্য বলতো কিন্তু রুবেল রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা গত ১৩ ডিসেম্বর মাছিপুর এলাকায় রুবেলের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেন আব্দুল্লাহ (কালি হিজড়া)। এতে গুরুতর আহত হন রুবেল আহমদ। এরপর থেকে রুবেল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল। তারপরও তাকে দলে ভেড়াতে না পেরে কৌশলে গত ১৮ ডিসেম্বর রুবেল ও তার স্ত্রী রাজনাকে হ ত্যা করেছে অভিযুক্তরা।

ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ওই দিন তার ছেলের কক্ষ থেকে কয়েকজন হিজড়ার কথাবার্তা শোনা যায়। তারা চলে যাওয়ার পর রাজনা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রুবেল তাকে নিয়ে সোবহানীঘাটস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। রুবেল তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের সামনে গাড়ি খুঁজতে থাকলে হঠাৎ তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক জানান, তাদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, রুবেল আহমদের মা একটি অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!