স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট বিভাগজুড়ে অবিরাম কাজ করছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। প্রতিদিনই সিলেট বিভাগের কোনো না কোনো স্থানে ধরা পড়ছেন মাদক ও চোরাকারবারিসহ নানা ধরনের অপরাধী। এছাড়া সীমান্তে ধরা পড়ছে কোটি কোটি টাকার চোরাই মালামাল।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বিজিবি ও র্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে একজন ডাকাত, দুজন মাদক চোরাকারবারি, একজন চোরাকারবারি ও দুজন মাদক কারবারি।
বিজিবি জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকার বাদেশ্বর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৮ ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিয়ারসহ মাদক চোরোকারবারি দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. আবুল হোসেন (২৭) বিছানাকান্দি গ্রামের মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বিলপার গ্রামের মো. মনির মিয়ার ছেলে মো. মনছুর চৌধুরী (২৩)।
আটককালে তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ৫ বোতল বিয়ার ও মাদক চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের জাফলং থেকে আসা একটি বাসযাত্রী যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ২৭ হাজার টাকার ১৩৫০ পিস ভারতীয় কিটক্যাট চকলেট জব্দ করেছে পুলিশ। সিলেটের শাহপরাণ থানাপুলিশ বটেশ্বরে বাস থামিয়ে ওই যুবকের ব্যাগ থেকে এসব চকলেট জব্দ করে।
এসময় মো. মমিন আহমদ (২৩) নামের এ যুবককে আটক করে পুলিশ। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।
এসব চকলেট ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেকপোস্ট বসিয়ে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বাসটি থামিয়ে এ যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে অবৈধ এসব চকলে জব্দ করা হয়েছে।পরে আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
র্যাব-৯ জানায়, তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (সিপিসি-১) একটি টিম রোববার রাত ২টার দিকে জেলার কসবা থানার একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০ গাঁজাসহ ১ জনকে আটক করে। আটক শাহাদাত হোসেন মানিক (৩০) কসবা থানার মধুপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে র্যাব-৯ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মো. মুছা মিয়া (৪৪) নামের এক ডাকাত দলের সর্দারকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে। রোববার রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার একটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মুছা আশুগঞ্জ থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আলী বক্সের ছেলে। আটককালে তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি রিভলবার, ৩ রাউন্ড গুলি, ৫টি শর্টগানের কার্তুজ, ২টি রামদা, ৪টি ছোরা, ১টি চাপাতি, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব-পুলিশ।
অপরদিকে, ২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার একটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার নাম মো. মিজান (৩৭)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া গ্রামের মো. খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
পরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!