স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা মো. আব্দুল মুমিন (২৮) হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টা) নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আরও দুজনকে থানায় নিয়ে এসেছে। এর আগে আরও একজনকে আনা হয়েছিলো। তবে প্রধান অভিযুক্ত মুমিনের বন্ধু রাজু আহমদকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
ধারালো ক্ষুরের আঘাতে খুন হওয়া মুমিন কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌরসদরের ধনপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে পৌরসদরে তার রাজু আহমদ নামের বন্ধুর ক্ষুরের আঘাতে অধিক রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। অভিযুক্ত রাজুও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। রাজু পৌরসদরের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত জাফর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুমিন ও রাজুর মধ্যে বন্ধুত্ব ছিলো। এর মধ্যে মুমিন একটি খাদ্যপণ্য কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি এবং রাজু স্থানীয় বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসদরে পয়েন্টে আল-আমিন ফার্মেসির সামনে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাজু ক্ষুর দিয়ে মুমিনের পেটে আঘাত করেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এলো রাজু পালিয়ে যান। পরে মুমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরদিন মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় নিজ গ্রাম ধনপুর গ্রামের মসজিদ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং জামাতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বুধবার বিকালে বলেন- এখন পর্যন্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আসা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মুমিনের দোকানের কর্মচারী। তাকে কাল (মঙ্গলবার) বাকি দুজনকে আজ (বুধবার) নিয়ে আসা হয়। মূল অভিযুক্ত রাজু এখনো পলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
ওসি বলেন- নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Sharing is caring!