প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ঈদ উপহার দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে ছাত্র নেতারা

editor
প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে ঈদ উপহার দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে ছাত্র নেতারা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মাইক্রোবাস নিয়ে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) নেতারা।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকালে সিলেটের মোগলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বাসের পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর ‘সিলেট মেট্রো- চ ৫১০০৩৮।

এ বিষয়ে সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গোলাপগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে ঈদ উপহার নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে একটি বাস আমাদের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। গাড়িতে থাকা আমাদের কর্মীরা ঘটনার সংশি¬ষ্ট গাড়ির গতিরোধ করে আটকায়। কিন্তু আটকানোর পর বাস মালিক সমিতির কিছু লোক ও কিছু স্থানীয় আমাদের কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়। আহতরা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি এ হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। আমরা পুলিশকে এ বিষয়ে অবগত করেছি এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া বলেন, ‘শহীদ পরিবারদের ঈদ সামগ্রী বিতরণের জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে একটি গাড়ির আবেদন করে। শহীদদের কথা চিন্তা করে উপাচার্য তাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন। এখন দুর্ঘটনার ফলে গাড়ির ক্ষয়ক্ষতির মেরামত বাবদ অভিযুক্ত বাস মালিক সমিতি থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যদি মালিক সমিতি অভিযুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে গাড়ির মেরামত বাবদ খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।’

গাড়ি প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক সরওয়ারদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাতে আমাদের অনেকগুলো গাড়ি খালি আছে। যেহেতু তারা শহীদ পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিবে, এজন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এটা সচরাচর দেওয়া হয় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, ‘প্রশাসন যদি সংগঠন হিসেবে আমাদেরকে গাড়ি দিয়ে থাকে, সেটার জবাবদিহিতা প্রশাসনের।’

মোগলাবাজার থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫/১৬ সিটের একটি মাইক্রো ঈদ উপঢৌকন নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার বাম পাশে একটি ট্রাক রাস্তার ডান পাশে উঠতে গেলে মাইক্রোটি ব্রেক মারে। তখন পিছন থেকে আসা একটি চলতি বাসের আঘাত মাইক্রোর পিছনে লাগে।’

Sharing is caring!